রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রায় দেড় বছর কারাভোগের পর বরিশালের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আনিছুর রহমান তাকে খালাসের নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামির বিরুদ্ধে শুনানীর সময় জেরি ভিক্টর আইনজীবীর মাধ্যমে তার দোষ স্বীকার করে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে প্রাপ্ত সাজার থেকে হাজতবাসের সময় বেশি হওয়ায় একই আদেশে তাকে মামলার দায় থেকে মুক্তির নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো আটকাদেশ না থাকায় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বরিশালের বন্দর থানাধীন চরকাউয়া এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে জেরি ভিক্টরকে। উদ্ধারের পর তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জ্ঞান ফেরার পর জেরি ভিক্টর পুলিশকে জানান, তাকে মারধর করে পাসপোর্ট ও টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বিপ্লব নামের এক ব্যক্তি। এসময় তিনি একটি পাসপোর্ট নম্বর দেন পুলিশকে। নম্বরটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে ওই নম্বরের কোনো পাসপোর্টের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
ফলে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে জেরি ভিক্টরের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানা পুলিশের এসআই শাহ সাব খান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে জেরি ভিক্টর হাজতে রয়েছেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার ওসি (তদন্ত) তাইয়্যেবুর রহমান জেরি ভিক্টরের পরিচয় জানতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টাপোলের সহয়াতা নেন। তিনি জানতে পারেন, জেরি ভিক্টর একজন পেরুর নাগরিক।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
এমএস/বিএসকে