এ লক্ষ্যে ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত শহীদ মিনার ও এর আশপাশের এলাকায় কোনো যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হবে না। ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে শহীদ মিনার ও এর আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীসভার সদস্য, কূটনীতিকসহ ভিআইপিরা শ্রদ্ধা জানানোর পর রাত সাড়ে ১২টায় সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে শহীদ মিনার। তবে সাধারণরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পলাশী মোড়ের একটি পথে প্রবেশ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, শহীদ মিনার ও এর চারপাশের এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। শহীদ মিনারের পাশে একটি অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম করে ক্যামেরার ফুটেজগুলো রিয়েল টাইম মনিটরিং (তাৎক্ষণিক নজরদারি) করা হবে। আগের দিন পুরো এলাকা ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশের সদস্যরা নিরাপত্তা দেবেন। শহীদ মিনারে আসা প্রতিটি ব্যক্তিকে আর্চওয়ে গেটের ভেতর দিয়ে যেতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তাদের দেহ তল্লাশি করা হবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জননিরাপত্তার স্বার্থে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের চারপাশের এলাকায় হকার ও ভাসমান দোকান বসতে দেওয়া হবে না। ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যে বর্তমানে যেসব ভাসমান দোকান রয়েছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।
মাতৃভাষা দিবসে কোনো হুমকি আছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপনকে কেন্দ্র করে ডিএমপি, গোয়েন্দারা এবং কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সব ধরণের পরিস্থিতি মাথায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮/আপডেট সময়: ১৩১০ ঘণ্টা
এসজেএ/জিপি