দ্বিতীয় দিনে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের নিয়মিত ও দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করলে পুরো অচল অবস্থা বিরাজ করে নগরভবন জুড়ে।
কর্মবিরতির ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অন্যত্র অবস্থান করায় নগরবাসী সেবা নিতে এসে খালি হাতেই ফিরে যাচ্ছেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, গত পাঁচ মাস ধরে ৫ শতাধিক নিয়মিতো কর্মকর্তা-কর্মাচারী এবং দুই মাস ধরে প্রায় এক হাজার ৪শ দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। ফলে বিসিসি’র সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
কিন্তু সেদিকে খেয়াল না রেখে কর্তৃপক্ষ বন্ধের দিন শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঠিকাদারদের বিলের টাকা পরিশোধের জন্য চেক তৈরি করতে গোপনে বরিশাল সিটি করপোরেশনে (নগর ভবন) আসেন। ঘটনাচক্রে অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে বাধ্য হয়ে হিসাব শাখার কক্ষ আটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
এরপর রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) খোলার দিনে বাধ্য হয়েই তারা বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেয়রের পক্ষ নিয়ে আলোচনায় বসলেও বেতনের বিষয়ে কোনো সুরাহা হচ্ছে না। আর মেয়র, প্রধান নির্বাহী কিংবা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কোনো আশ্বাস দেয়নি। তাই এবারে তারা বকেয়া-বেতন সব বুঝে না নিয়ে কর্মে আর ফেরত যাবে না।
বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের নগর ভবন শাখার সম্পাদক দীপক লাল মৃধা জানান, ‘মাসের পর মাস ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। এ কারনেই আমরা ক্ষুব্ধ। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ করছি। যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। তবে নগরবাসীর সুবিধার জন্য শহর পরিষ্কার রাখার কাজ অব্যাহত রাখা হবে’।
বর্তমান মেয়র আহসান হাবিব কামাল ক্ষমতায় আসার পর গত তিন বছরে প্রায় ১০ বার বকেয়া-বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নামে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
এমএস/জিপি