ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চুরির অভিযোগে কিশোরগঞ্জে শিশু নির্যাতন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
চুরির অভিযোগে কিশোরগঞ্জে শিশু নির্যাতন চুরির অভিযোগে কিশোরগঞ্জে শিশুকে নির্যাতন

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্বতারাপাশা এলাকার একটি আইসক্রিম ফ্যাক্টরির পাইপ চুরির অভিযোগে ইদু (১০) নামে এক শিশুকে নির্যাতন করেছে ওই ফ্যাক্টরির মালিক কেন্তু মিয়ার ছেলে বকুল মিয়া। নির্যাতনের শিকার ওই শিশুটি বর্তমানে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ইদু কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন তারাপাশা বন্দের বাড়ি এলাকার সোহরাব মিয়ার ছেলে। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে ইদু সবার ছোট।

বড় ভাই সুজন মিয়া শহরের মোরগমহাল এলাকায় ভাঙাড়ির ব্যবসা করেন। সেখানেই কাজ করে ইদু।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালের চতুর্থ তলায় বারান্দার বেডে গিয়ে কথা হয় শিশু ইদু ও তার পরিবারে সঙ্গে।

শিশু ইদু বাংলানিউজকে জানায়, ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে মোরগমহালের ভাইয়ের দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিল সে। এসময় রেলস্টেশন সংলগ্ন বটতলা এলাকায় আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিকের ছেলে বকুল তাকে ধরে চড়-থাপ্পড় দিয়ে পাশের জিআরপি থানায় নিয়ে যায়। পরে রাতে ইদুকে রেলওয়ে থানা থেকে নিজেদের আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে নিয়ে যায় বকুল। এরপর সেখানে নিয়ে বকুল ফ্যাক্টরির প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে বেধড়ক পেটায় ইদুকে। এক পর্যায়ে প্লাস্টিকের পাইপটি ভেঙে গেলে লোহার পাইপ দিয়ে পেটায়। নির্যাতনের পর সারারাত ফ্যাক্টরিতে আটকে রাখা হয় তাকে। পরদিন শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে ছেড়ে দেওয়ার পর অসুস্থ শরীর নিয়ে বাড়ি ফেরে সে। পরে শরীরে ব্যথা অসহ্য পর্যায়ে চলে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার রাতে তাকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ইদুর পরিবার জানায়, পুনরায় নির্যাতন-মারপিটের হুমকির কারণে তারা থানায় গিয়ে অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছেন না। রেলওয়ে থানা হেফাজত থেকে শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে এমন বর্বর নির্যাতন করা হবে, তা তারা কল্পনাও করতে পারেননি।

কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ওইদিন তিনি স্টেশনে ছিলেন না। তবে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) স্টেশনে এসে বিষয়টি জেনেছেন যে, শিশুটিকে থানায় আনা হলেও পরিবারের হেফাজতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুশামা মো. ইকবাল হায়াত বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৬০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।