শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে শুরু হওয়া ভাঙনে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এতে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, নতুন করে ভাঙন হুমকির মুখে রয়েছে সুরেশ্বর দরবার শরীফ, বসতঘর, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে পদ্মা নদীর ডান তীরে সুরেশ্বর দরবার শরীফ রক্ষা প্রকল্পের নামে সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে ৯০০ মিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ছয়টি প্যাকেজে খুলনার শামিম আহসান, মাদারীপুরের ফারজানা খান, ঢাকার এসএস ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ও এএইচ ট্রেডিং করপোরেশন নামের চারটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাঁধের নির্মাণ কাজ করেন ।
সুরেশ্বর গ্রামের আবুল হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার রাত থেকে হঠাৎ করে বাঁধে ধস শুরু হয়। এছাড়া গত বছর বাঁধের যে স্থান ধসে গিয়েছিল এখন সে স্থানে আবারো পদ্মার ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে আমাদের তিনটি বসতঘর পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমরা উদ্বাস্তু অবস্থায় আছি।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, গত বছর বাঁধের প্রায় ২০০ মিটার ধসে গিয়েছিল। শুক্রবার হঠাৎ ওই বাঁধে আবারো ধস দেখা দেয়। একই সাথে গত বছর বাঁধের যে অংশ ধসে গিয়েছিল সে অংশে আবারো ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে গত চার দিনে তিনটি বসতঘর পদ্মার গর্ভে চলে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে বাঁধটিকে রক্ষা করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
এনটি