শহীদ মিনার চত্বর ঘিরে রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এখানে।
শহীদ মিনারের রক্ত রাঙা চত্বরে একটি পাতাও পড়ে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। ১০-১২ জন লোক সব সময় ব্যস্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে। তাদেরই একজন জুয়েল সরদার। তিনি গণপূর্ত অধিদপ্তরের আরবারি কালচারে কর্মরত। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে আছেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শহীদ মিনার পরিষ্কারের।
জুয়েল সরদার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কাজ ২৪ ঘণ্টা শহীদ মিনার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে এসেছি। আমরা শহীদ মিনারে একটা পাতাও পড়তে দেবো না।
পিডব্লিউডি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সমন্বয়ে এগিয়ে চলেছে সার্বিক প্রস্তুতি। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শেষ হবে আল্পনা আঁকার কাজ। শহীদ মিনারে দেওয়া হয়েছে সাদা রঙও।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘লাল সূর্য’ লাগানো হবে। ৯৫ শতাংশ কাজ এরই মধেই সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আল্পনা আঁকার কাজ দেখভাল করছেন পিডব্লিউডি’র কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আশেপাশে গাছের ডালপালা ছাঁটাই করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টাই চলবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। শহীদ মিনারে সারা বছরই টুকিটাকি কাজ চলে। তবে ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কাজ চলে একমাস আগে থেকে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বসানো হয়েছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠে নামানো হচ্ছে ডগ স্কোয়াড। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যক্ষেণের জন্য সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘুরে গেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার শহীদ মিনারে সুদৃঢ় রয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শহীদ মিনার ও এর চারপাশের এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। শহীদ মিনারের পাশে একটি অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম করে ক্যামেরার ফুটেজগুলো রিয়েল টাইম মনিটরিং (তাৎক্ষণিক নজরদারি) করা হবে। মঙ্গালবার পুরো এলাকা ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। শহীদ মিনারে আসা প্রতিটি ব্যক্তিকে আর্চওয়ে গেটের ভেতর দিয়ে যেতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তাদের দেহ তল্লাশি করা হবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া আরো বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জননিরাপত্তার স্বার্থে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের চারপাশের এলাকায় হকার ও ভাসমান দোকান বসতে দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
এমআইএস/এসআই