মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ঘুমধুমের বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক দিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করেন তারা।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ত্রাণ, শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম, বান্দরবান জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বণিক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনসহ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বণিক জানান, মিয়ানমার সীমান্তের তাংপাই লুটি এলাকায় দেশটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুপুর ১২টার দিকে আলোচনায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
এদিকে কয়েকদিন ধরে নোম্যান্সল্যান্ডে অবস্থানকারী প্রায় ৬ হাজার রোহিঙ্গাকে সরে যেতে মাইকিং করছে মিয়ানমার। তাছাড়া অসহায় রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। ফলে অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
গত বছরের ২৪ নভেম্বর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ দ্বি-পাক্ষিক চুক্তিতে সই করে। সেই চুক্তিতে দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত যেতে পারেননি।
গত বছরের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালালে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে থাকে রোহিঙ্গারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
আরআর