তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার রায়ের যে সার্টিফায়েড কপি নিয়ে এতোদিন তারা সন্দেহ করেছেন, সে কপি কাল পেয়ে গেছেন। তারপরেও নতুন নতুন কথা বলছেন তারা।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ট্রাফিক আইন না মানায় ছয়টি যানবাহনকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালত-৭ এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সুজন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, আদালতের আদেশেই সব কিছু হবে। তারা এখন উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারেন, আপিল করার পর আদালত যদি খালেদা জিয়াকে নির্বাচন করার অনুমতি না দেন, তাহলে আওয়ামী লীগের কী করার আছে? সরকারের কী করার আছে? আজ যেখানে রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধের দায়, সেখানে যদি নির্বাচন করার যোগ্যতা তিনি অর্জন না করেন তাহলে সেখানে সরকারের কিছু তো করার নেই। বিষয়টি আদালতের, এখানে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সোমবার প্রেস কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে তাদের (বিএনপি) অপরাধী চরিত্র উন্মোচিত হওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। তারা দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন, এখন তারা আবার যদি ক্ষমতায় আসতে পারেন, গঠনতন্ত্র থেকে সাত ধারা তুলে দিয়ে নিজেদের দুর্নীতি প্রবণ মুখোশ উন্মোচন করবেন। এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে বিএনপি আবার ক্ষমতায় যেতে পারলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে।
একজন সৎ নেতাও কী বিএনপিতে নেই, যিনি দণ্ডপ্রাপ্ত নন, যাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা যেতো? একজন দণ্ডিত, দুর্নীতিবাজ আর বিদেশে ফেরারি আসামিকে বিএনপি চেয়ারপারসন করার মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণ হলো যে এ দল ক্ষমতায় গেলে আবারো বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
এসআই