একুশের প্রথম প্রহর থেকে ভোররাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে এমনটাই দেখা গেছে।
একুশে ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে জাতির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর একে একে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিন বাহিনীর প্রধানসহ রাজনৈতিক নেতারাও।
রাতে গোড়ান একতা যুব সংঘের ব্যানারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেন এসেছেন কয়েকজন। তারা জানান, শহীদ মিনার থেকে প্রায় দুই কিলোমটার দূর পর্যন্ত মানুষের লাইন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এমন খণ্ড খণ্ড দলে হাজারো সংগঠন বা সংস্থার ব্যানার। সবার উদ্দেশ্য একটাই শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানানো।
আরও পড়ুন>>
** শ্রদ্ধায় ভরে ওঠছে স্মৃতির শহীদ মিনার
পুরান ঢাকা থেকে গোল্ডেন স্ট্রিট বয়েজ এসেছে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে। সংগঠনের সভাপতি মুস্তাকিনুর রহমান জাদু বলেন, ভাষা শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় এখানে এসেছি। তারা আমাদের মায়ের ভাষার দাবি আদায়ে প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছেন। তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।
রাতে মানুষ শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পাঠ্যক্রমে এই গৌরবগাঁথা নিয়ে আরও বিশদ থাকা উচিত। যাতে নতুন প্রজন্ম আরও অনেক কিছু জানতে পারে।
‘ভাষা শহীদের ঋণ কখনও শোধ হবে না। আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখেছি একজন বিচারপতি ৭ হাজার রায় বাংলা ভাষায় দিয়েছেন, যা গর্বের। বলা যায় তিনি আমাদের একজন বীর। ’
শ্রদ্ধার ফুল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি রোড হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রবেশের পথ চালু রয়েছে।
বরাবরের মতো শহীদ মিনারে অর্ঘ্য দেওয়া শেষে দোয়েল চত্বরের দিকে বেরিয়ে যাচ্ছেন এসব মানুষ।
এদিকে ভোরে শুরু হবে প্রভাত ফেরি। লাখো মানুষ যোগ দেবেন এই প্রভাত ফেরিতে। এজন্য শহীদ মিনারের পাশে লাইন সাজানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
এমআইএস/এমএ