সীমান্ত ‘মুছে’ এদিন এক ছায়ায় মিলবে এপার-ওপার দুই বাংলার বাংলা ভাষাভাষীরা। তাই আয়োজন শেষ করতে যেন ঘুম নেই শিল্পীদের চোখে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ২ টায় বেনাপোল-পেট্রাপোল শূন্য রেখা এলাকা ঘুরে দুই দেশের নির্মাণ শিল্পীদের মাঝে এমন ব্যস্ততা দেখা মেলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেউ ফুলের মালা তৈরি করছেন, কেউ শেষবারের মতো বিভিন্ন আলপনায় রং তুলির শেষ আচর দিচ্ছেন। আবার অনেকে দুই দেশের বিশিষ্ট গুনীজনদের ছবি টাঙাতে ব্যস্ত।
এদিকে কাজে ব্যস্ততা থাকলেও মাঝে মধ্যে মনটাকে কিছুটা রাঙিয়ে নিতে নির্মাণ শিল্পীদের সংগীত আড্ডা দিতেও দেখা যায়।
ভারতের বনগাঁ থেকে কাজে এসেছেন অনিমেষ দাস। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এবার দিয়ে তিনবার তিনি এ অনুষ্ঠানে কাজের জন্য এসেছেন। দুই দেশের বাংলা ভাষাভাষী মানুষ এক সঙ্গে কাজ করার সুযোগ ভিন্ন রকম আনন্দ দেয়। বছরের পুরো দিনটাই এ সময়ের জন্য অপেক্ষায় থাকি।
একই কথা বলেন বাংলাদেশের নির্মাণে শ্রমিক রহমানও।
এদিকে অনুষ্ঠানকে সফল করতে যেন কোনো ধরনের ঘাটতি না থাকে তার জন্য দুই পারের আয়োজক কমিটির প্রধানরা রাত থেকে ভোর তদারকি করে যাচ্ছেন।
ভাষা উৎসবের দু-পারের আয়োজক কমিটির পক্ষে বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, অন্যান্য বারের চেয়ে এবার আরো আকর্ষনীয় রূপে ভাষা দিবসের আয়োজন করা হয়েছে। বর্ণ দিয়ে বর্ণ মেলা ও বই মেলা থাকছে।
‘এছাড়া দুই বাংলার মানুষেরা এদিন স্বেচ্ছায় রক্তদান ও এক দেশ আর এক দেশের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এতে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে একে অপরের বন্ধুত্ব সম্পর্ক ও বাড়বে। ’
আমন্ত্রিত অতিথিসহ দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভাষা উৎসব উদযাপনের ইভেন্ট অর্গানাইজার কাঠ পেন্সিলের নির্বাহী পরিচালক আব্দুস ছালাম জানান, রাতের মধ্যেই তাদের সব কাজ সম্পন্ন হবে।
দুই বাংলার ভাষা দিবসের খবর প্রচারে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাংলা ভাষাভাষী মানুষেল জনপ্রিয় নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। এ উৎসবের উদ্যোক্তা বেনাপোল ও ভারতের বনগাঁ পৌরসভা।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
এজেডএইচ/এমএ