বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেসের ছাদে করে গন্তব্যে যাওয়ার সময় ওই চারজন এ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।
নিহতরা হলেন- দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার বড় হাসিমপুর ডাক্তারপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২২), নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার মালিপুর গ্রামের আব্দুল লতিবের ছেলে আমিনুল ইসলাম (২৯), পঞ্চগড় জেলার বোদা থানার আপেল মাহমুদ (২৫) ও দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে উপজেলার চৈতাপাড়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে মুনির (২২)।
আহতদের উদ্ধার করে নওগাঁয় তিন জন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই জনকে পাঠানো হয়েছে।
এদের মধ্যে চার জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার মকিমপুর গ্রামের বাসিন্দা আরিফ হোসেন (৩০), নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের মেহেদী হাসান (৩০), নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার বাঁকড়ইল গ্রামের আবু সাঈদ (২৮) ও নীলফামারী জেলার ডেমার উপজেলার বারঈসা গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মোতালেব হোসেন (৩২)।
সান্তাহার জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে চড়ে বেশ কয়েকজন যাত্রী গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। ভোরে ট্রেনটি রানীনগর স্টেশন অতিক্রমের সময় ফুটওভার ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ছাদ থেকে ৪ যাত্রী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এছাড়া একই সঙ্গে থাকা আরো পাঁচ জন আহত হয়।
ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে সান্তাহার জিআরপি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮/আপডেট: ১০৩১ ঘণ্টা
এইচএ/আরএ