ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী উদযাপন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী উদযাপন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সভায় আসাদুজ্জামান খাঁন কামালসহ অন্যরা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বাংলাদেশকে বদলে দেবেন, যথাযোগ্যভাবে কিন্তু সেটা করেছেন। আমরা এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে যাচ্ছি। যে তিনটি সূচক লাগে, সবগুলোতেই আমরা এগিয়ে আছি। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার সূচকে এগিয়ে। উন্নয়নশীল দেশে যেতে আর কোনো বাধা নেই। শুধু একটি ডিক্লিয়ারেশন, মার্চ মাসে সেই সপ্তাহটি উদযাপিত হবে এবং আমরা সেই জায়গায়টিতে যাবো। বাংলাদেশ প্রস্তুত।

বাংলাদেশ এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের বিষয়টি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সভা হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল একথা জানান।

সভা শেষে জানানো হয়, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উপলক্ষে সারা দেশে আনন্দঘন পরিবেশে সপ্তাহব্যাপী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা ছাড়াও সপ্তাহব্যাপী উদযাপনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রচার করা হবে।
 
সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সব শর্ত পূরণ হওয়ায় বিশ্ব ইকোনমিক ও সোশ্যাল কাউন্সিল মার্চ মাসে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা করবে। স্তর পরিবর্তনের সময় পাওয়া যাবে তিন বছর, ২০২৪ সালে তা কার্যকর হবে।
 
বাংলাদেশ এলডিসির স্ট্যাটাসের বিষয়টি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেদিন ঘোষিত হবে সেই দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে একটা আনন্দ মিছিল আনন্দঘন পরিবেশে সারা বাংলাদেশ উদযাপন করবে।
 
‘২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীকে একটি সংবর্ধনা দেব। কেন্দ্রীয়ভাবে ছাড়াও সারা দেশে র‌্যালি করবো। সেবা সপ্তাহটি এক সপ্তাহের জন্য। প্রত্যেক মন্ত্রণালয় থেকে ডিসপ্লে থাকবে। কী করে আরো সেবা দিতে পারি সেগুলো শো করা হবে। ’
 
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মূল অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রত্যেক জেলায় উদযাপনের জন্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
 
নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, মানুষ এখন বিশৃঙ্খলা পছন্দ করে না, অন্ধকারের দিতে যেতে চায় না। কাজেই ধ্বংস, বিশৃঙ্খলা, মারামারি, কাটাকাটি এদেশের জনগণই রুখে দেয়। সারা দেশের মানুষ আনন্দ-উৎসব করবে, সেখানে বিশৃঙ্খলার কোনো প্রশ্ন আসে না।
 
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশের জন্য আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর একটা ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। সংখ্যা বৃদ্ধি, সুবিধাদি থাকা ও মুভমেন্টের ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশের জন্য যেটা প্রয়োজন আমরা অটোমেটিক সেই জায়গায় চলে গিয়েছি। এখন শুধু ঘোষণাটা বাকি।
 
মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড, ফায়ার ব্রিগেড, পাসপোর্ট অধিদফতর, কারাগারের ক্যাপাসিটি বেড়েছে। সবগুলো যুগোপযোগী করছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে যথাযোগ্যভাবে সময়ের সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশের জায়গায় গেছি।
 
বিডিআরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতকদের গ্রেফতার করতে উদ্যোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা চলমান প্রক্রিয়া, যারা কনভিকটেড তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এখানে আমাদের সবাই কাজ করছে।
 
সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়াও পুলিশ মহাপরিদর্শক, র‌্যাব মহাপরিচালক এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।