বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি সরকার আমলে তাদের ক্যাডাররা আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ধারা যাতে অব্যাহত থাকে, মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে পারে সেজন্য আগামী জাতীয় ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আবেদন জানাই। আপনারা ওয়াদা করেন নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
চলতি মেয়াদে এটি প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীতে দ্বিতীয় সফর।
প্রধানমন্ত্রী যে ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করেছেন তার মধ্যে রয়েছে- ১৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পুঠিয়ায় বারনই নদীতে ড্যাম নির্মাণ, ২ কোটি ৮৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে রাজশাহী (নর্থ) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন নির্মাণ, ১ কোটি ৫১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নওহাটা ফায়ার স্টেশন নির্মাণ, ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভে ইনস্টিটিউট নির্মাণ।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের ৫ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, শহীদ কামারুজ্জামান সরকারি ডিগ্রি কলেজের ৫ তলা একডেমিক ভবন নির্মাণ, দামকুড়া হাট কলেজের ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, আড়ানী ডিগ্রি কলেজের ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, তানোর আব্দুল করিম সরকার ডিগ্রি কলেজের ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, বাগমারা কলেজের ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, বিড়ালদহ কলেজের ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, রাজশাহী মহানগরীর নবনির্মিত ৮টি থানা ও গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী যে ৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তার মধ্যে রয়েছে- ১ হাজার ৫শ’ কোটির টাকা ব্যয়ে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, প্রায় ৯শ’ ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কাশিয়াডাঙ্গা ও মেহেরচণ্ডীতে জিআইএস বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ, প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ, ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি মহিলা কলেজের ৬তলা ভিত বিশিষ্ট ছাত্রী নিবাস নির্মাণসহ বড়াল নদীর ওপর গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, গোদাগাড়ী ও চারঘাটে ভূমি অফিস নির্মাণ, মাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ ও শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণ।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন৷জনসভায় বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেক ও প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান খান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুব উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী সাইফুজ্জামান শেখর, রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আকতার জাহান, আওয়ামী লীগেরর কেন্দ্রীয় সদস্য নূরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।
জনসভা শেষে বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় ফিরবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
এসকে/এসএস/আরআর