বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ইউনিক ড্রিংকিং ওয়াটার নামে ওই প্রতিষ্ঠানটিতে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় এ অনিয়ম ধরা পড়ে।
অভিযানের সময় দেখা যায়, ইউনিক ড্রিংকিং ওয়াটার নামে ২০১৩ সালে বিএসটিআই'র লাইসেন্স নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
সবকিছু ছাপিয়ে কারখানাটির পেছনের কক্ষে সরাসরি ওয়াসার পানি বোতলজাত করতে দেখা যায়। আর ওই পানি ফিল্টারের পানি বলে বাজারজাত করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি।
সায়েদাবাদ এলাকায় আরেকটি কারখানায় অভিযানকালে দেখা যায়, বন্ধু হোটেল নামে একটি হোটেলে ব্যবসার আড়ালে ফিল্টারের পানির ব্যবসা করে আসছিল। এই পানি কারখানার মালিক ওয়াসার পানি ও বিদ্যুতের সংযোগ চুরি করে ওয়াসার পানি সরাসরি বোতলজাত করে বিক্রি করে আসছিল।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে থাকা র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বাংলানিউজকে বলেন, বন্ধু হোটেলকে দেড় বছর আগে একই অপরাধে দণ্ড দিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছিল। পরে সে আবার একই কাজ শুরু করে।
বৃহস্পতিবার দিনভর র্যাব-১০ এর এই ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রসঙ্গে সারওয়ার আলম বলেন, এ পর্যন্ত তিনটি কারখানার নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও একজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান শেষে মোট হিসাব জানা যাবে।
তিনি বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বোতলজাত পানি বিক্রি প্রতিষ্ঠানের ২০০টি স্যাম্পল সংগ্রহ করে বিএসটিআই। সেসব পানির সবক’টিতে অতিমাত্রায় ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া যায়। তারপর থেকে ধরাবাহিকভাবে আমাদের অভিযান চলমান।
তিনি আরও বলেন, অভিযানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো ধরনের মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ওয়াসার পানি বোতলজাত করে ফিল্টারের পানি বলে বাজারজাত করে আসছিল।
এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান সারওয়ার আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
পিএম/এএ