বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাঙ্গাবালী থানায় বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ওই মাদ্রাসাছাত্রী।
মামলার আসামিরা হলেন- রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের গঙ্গিপাড়া গ্রামের ফেরদৌস হাওলাদার (২২), তার সহযোগী চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম (৪০) ও গঙ্গিপাড়া গ্রামের ফারুক হোসেন (৪৫)।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, কয়েকমাস আগে উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে (ভিকটিম) প্রেমের প্রস্তাব দেয় প্রধান আসামি ফেরদৌস। ওই সময় ফেরদৌস নিজেকে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দেয়। কিন্তু ওই ছাত্রী প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় ফেরদৌস। তাতেও রাজি না হলে আসামি সাইদুল ইসলাম ও ফারুকের সহযোগীতায় কৌশলে তার (ছাত্রী) সঙ্গে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সে। একপর্যায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই ছাত্রীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করতে গেলে তাকে হাতে-নাতে আটক করে স্থানীয়রা।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলন কৃষ্ণ মিত্র বাংলানিউজকে বলেন, আসামি ফেরদৌসকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
এমএস/ওএইচ/