বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. গোলাম মর্তুজা মজুমদার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্য তিন আসামি হলেন- গোলাপগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব যুগেশ্বর চ্যাটার্জি, কার্য সহকারী সাব্বির আহমদ এবং অফিস সহকারী জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবলা।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুর্নীতির দায়ে ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিলেট অফিসের সহকারী পরিচালক দেবব্রত মণ্ডল বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৫ সালে ১২টি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে তৎকালীন মেয়র পাপলু প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্পের ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭৭২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর মামলা করা হয়।
আদালত সূত্র জানা যায়, মেয়র থাকাবস্থায় জাকারিয়া আহমদ ক্ষমতা অপব্যবহার করে ২০১৫ সালের ১১ জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পৃথক তারিখে ১৪টি স্মারকে অফিস আদেশ স্বাক্ষর এবং ১৪টি প্রকল্প অনুমোদন করেন। প্রকল্পের বিল বাবদ ৭ লাখ ২৫ হাজার ৪৭৪ টাকা বিল উঠানো হয়। এরমধ্যে আসামিরা ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭২২ টাকা আত্মসাৎ করেন।
দুদকের সরেজমিন অনুসন্ধানে ১৪টি প্রকল্পের মধ্যে ১২টির এবং মাস্টাররোলে শ্রমিকদের নাম-ঠিকানার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পৌরসভার কর্মচারী (সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক) দুলাল আহমদের নামে দু’টি প্রকল্প বানিয়ে তার স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাৎ করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
একইভাবে পৌরসভার বিলবোর্ড না লাগিয়ে আসামি সাব্বির আহমদ ৩৯ হাজার ৭২২ টাকা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে আসামি জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবলা এক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এর আগে উচ্চ আদালত থেকে গত ৩ জানুয়ারি ৬ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন আসামিরা। জামিনের মেয়াদ শেষে নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে এলে তাদের জামিন আবেদন নাকচ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
এনইউ/জিপি