বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় খুলনা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতার ও জেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের উদ্যোগে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান।
বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশে নারী শিক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নারীদের অধিকার নারীদেরকেই আদায় করে নিতে হবে। সরকার নারী সমাজকে দেশের সকল ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আগের তুলনায় কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জয়িতাদের অবদান সমাজে ছড়িয়ে দিতে পারলে নারীরা আরও উৎসাহিত হবেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. নূর-ই-আলম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মাহিনুল হক, অধ্যক্ষ জাফর ইমাম, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হাসনা হেনা, খুলনা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল বাশার মোল্লা, রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ এবং সাবেক জয়িতা মুরর্শিদা আক্তার রনি।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য চারটি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিতরা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী লুৎফর হক, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী সেলিনা আক্তার পিয়া, সমাজ উন্নয়নে ছাকের বানু এবং সফল জননী রহিমা বেগম।
খুলনা জেলা পর্যায়ে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতারা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী বেগম জাহানারা ভূঁইয়া, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী জয়া রানী বোস, সফল জননী মঞ্জরী মণ্ডল, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা মর্জিনা খাতুন এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা ছাকেরা খাতুন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন। এসময় সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন নারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২ , ২০১৮
এমআরএম/এনএইচটি