বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক ও বাংলাদেশের দুর্নীতির পরস্থিতি তুলে ধরেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
১শ’ ভিত্তিতে এ সূচকে শূন্য স্কোরকে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ১শ’ স্কোরকে সর্বোচ্চ সুশাসনের দেশ বা সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
টিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী এবার মোট ১৮০টি দেশকে এ সূচকে গণ্য করা হয়েছে। যাতে শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম। যা গত বছর ছিলো ১৫তম। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থা দ্বিতীয়। প্রথম আফগানিস্তান।
তথ্য অনুযায়ী শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ সোমালিয়া। তাদের স্কোর ১শ’ তে ৯। সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ নিউজিল্যান্ড। তাদের স্কোর ১শ’ তে ৮৯। বাংলাদেশের স্কোর এবার ২ পয়েন্ট বেড়ে ২৮ হয়েছে। যা গত বছর ছিলো ২৬। এছাড়া গুয়াতেমালা, কেনিয়া, লেবানন ও মৌরতানিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে একই স্থানে অবস্থান করেছে।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কান্ট্রি রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট, ইনফরমেশন হ্যান্ডেলিং সার্ভিসেস গ্লোবাল ইনসাইড কান্ট্রি রিস্ক রেটিং, ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের রুল অব ল ইনডেক্স, পলিটিক্যাল রিস্ক সার্ভিস ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রি রিস্ক গাইড, বার্টলসমেন্ট ফাউন্ডেশন ট্রান্সফরমেনশন ইনডেক্স, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি পলিসি অ্যান্ড ইনস্টিউশনাল অ্যাসেসমেন্ট, ভেরাইটিজ অব ডেমোক্রেসি প্রজেক্ট ও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক্সিকিউটিভ ওপিনিয়ন সার্ভের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ ধারণা সূচক তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
ওএইচ/