আসামিরা হলেন- ডুমুরিয়া থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) আবদুর রউফ বিশ্বাস, কনস্টেবল নাদিম, ট্রাকচালক মনির সরদার ও সহযোগী রাজু ঘোষ। গ্রেফতারকৃত ট্রাকচালক মনির সরদার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামালনগর গ্রামের মোকসেদ সরদারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমারের আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখসহ স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দেন আসামিরা। পরে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ও গ্রেফতার ডুমুরিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুর রউফ বিশ্বাস, কনস্টেবল নাদিম শিকদারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ অন্যান্য আইনানুগব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডুমুরিয়া থানা থেকে পুলিশ সদস্য দুই জন ও সাতক্ষীরা থেকে বাকি দুই জনকে আটক করা হয়। দুই পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে ছিনতাই করা ছয় লাখ ৫৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ডুমুরিয়ার চুকনগরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ট্রাকের গতিরোধ করে গরু ব্যবসায়ী গোলাম রসুল ওরফে লিটনের কাছ থেকে ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনতাই হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই থানায় মামলা করেন গরু ব্যবসায়ী গোলাম রসুল।
সাতক্ষীরা সদর থানার নলকুড়া গ্রামের আব্দুল কাদের সরদারের ছেলে গরু ব্যবসায়ী গোলাম রসুল ওরফে লিটন ও তার সহযোগীরা ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়ার হাটে ২২টি গরু বিক্রি করে ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে ট্রাকযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। উপজেলার চুকনগর খুলনা মহাসড়কের সাতক্ষীরা ফুটস থেকে মাত্র ৫শ' গজ পৌঁছলে দু'জন লোক সাদা পোশাকে একটি ব্লু কালারের 'অ্যাপাসি' মোটরসাইকেলে ট্রাকটির সামনে এসে গতিরোধ করেন। ট্রাকে মাদক আছে বলে তারা তল্লাশি চালাতে থাকেন। তারা ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্র দেখিয়ে গরু ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে খুলনা দিকে চলে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
এমআরএম/ওএইচ/