ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মার্চের মধ্যভাগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আশা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
মার্চের মধ্যভাগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আশা কবে শুরু হবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এই প্রশ্ন সবার। ফাইল ছবি

ঢাকা: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে মিয়ানমারের প্রতি উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ। তবে কবে নাগাদ এ প্রত্যাবাসন শুরু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে মার্চ মাসের মধ্যভাগে এ প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আট হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গার একটি তালিকা মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লে. জে. কাউ সুইয়ের হাতে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, ওই তালিকা যাচাই করছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তিনি জানান, তালিকা হস্তান্তরের মাত্র তো এক সপ্তাহ গেলো। আশা করছি, দ্রুত এ নিয়ে অগ্রগতি হবে।

মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তালিকা যাচাইয়ের পর দেশটির ইমিগ্রেশন কার্যালয়ে পাঠাবে। ইমিগ্রেশন কার্যালয় যাচাই বাছাইয়ের তথ্য-উপাত্ত মিলিয়ে দেখে সন্তুষ্ট হলেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি)  বিকেলে পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, মিয়ানমারকে প্রাথমিক একটি তালিকা দিয়েছি। আমরা তাদের  অপেক্ষায় রয়েছি তারা এ তালিকার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়। এবার আমরা আশাবাদী। দ্রুতই প্রত্যাবাসন শুরু হবে।

এর এক সপ্তাহ আগে নিউইর্য়কে এক আলোচনা সভায়  পররাষ্ট্রসচিব বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানে এগিয়ে না এলে এর দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেই বহন করতে হবে।  

বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

শহিদুল হক বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ নিরাপত্তা, আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তার পরও মানবিক কারণে এটি করেছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে হবেই কারণ এ সমস্যা তাদেরই সৃষ্টি এবং মিয়ানমারই রোহিঙ্গাদের নিজ বাসভূমি।

রাখাইন প্রদেশে গত বছরের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অবর্ণনীয় নির্যাতন শুরু হলে বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ঢল শুরু হয়। নতুন করে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ইতোমধ্যে প্রায় সাত লাখে পৌঁছেছে। এর আগে থেকে প্রায় সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ১১ লাখ বা তারও বেশি। এর মধ্যে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থান নিয়েছে সাড়ে ৬ হাজার রোহিঙ্গা। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতনকে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা গণহত্যা বলে অভিহিত করেছেন।

আন্তর্জাতিক সমাজের তীব্র সমালোচনার মুখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে গত নভেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে মিয়ানমার। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাহানা দেখিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে দেশটি। তবে এখনও মিয়ানমার নিয়ে এ বিষয়ে আশা করা করা ছাড়া কোনো পথ দেখছে না বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়ঃ ০৪২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩,২০১৮
কেজেড / জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।