প্রাকৃতিকভাবেই দীর্ঘদিনে গড়ে ওঠেছে আলতাদীঘি শালবনের এ চিত্র। নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলা সদর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার উত্তর-দক্ষিণ কোনে অবস্থিত এ শালবন।
বন বিভাগের মতে, এক সময় এ বনে বাস করতো বাঘ, সিংহ, অজগরসহ বিভিন্ন প্রজাতির হিংস্র প্রাণী। ছিল হরিণ, বানর, ময়ূর ও অসংখ্য ছোট-ছোট প্রাণীকূলের বাস। এরই মধ্যে শালবনে অবমুক্ত করা হয়েছে দু’টি অজগর, মেছো বাঘ, কিছু ছোট প্রজাতির প্রাণী ও পাখি। এছাড়া সার্কাস থেকে আনা দু’টি হনুমান ও তিনটি বানরও ছাড়া হয় এ বনে। এ প্রাণীগুলো বিশেষ করে অজগর ছেড়ে দেওয়ায় কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা মুকুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ বনে মোটামুটি ছোট-বড় অনেক প্রাণীর বসবাস। বেশ কিছুদিন আগে অজগর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এ বনে। যার ফলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অজগরের ভয়ে মানুষ বনে যেতে ভয় পাচ্ছেন। বিশেষ করে যেসব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ এ বনে বাস করে তাদের সমস্যা বেশি।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বনের জীববৈচিত্র পুনরুদ্ধারের একটি প্রকল্প হাতে নেয় বন বিভাগ। দু’বছর পর শুরু হয় সে কাজ। বনে ঢোকার মুখে নির্মাণ করা হয়েছে পার্ক অফিস, বনের ভেতরের খালগুলো সংস্কার ও নির্মাণ করা হয়েছে গোলঘর। পার্শ্ববর্তী জেলা জয়পুরহাট থেকে বনে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী মাহবুব আলম বাংলানিউজকে বলেন, বনে নিরাপত্তার অনেক অভাব। এখানে কোনো নিরাপত্তাকর্মী নেই। তাছাড়া দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য নেই কোনো বিশ্রামাগার। মাহবুবের পাশাপাশি বনে ঘুরতে আসা অধিকাংশ দর্শনার্থীর এমন অভিযোগ।
ধামইরহাট বন বিট কর্মকর্তা লক্ষণ চন্দ্র ভৌমিক বাংলানিউজকে জানান, আলতাদীঘি শালবন যেহেতু প্রাকৃতিক বন, তাই উত্তরাঞ্চলে কেবল এ বনেই সব প্রাণীকূলের আবাসস্থল গড়ে তোলা সম্ভব। আলতাদীঘি শালবন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিসহ স্থানীয়রাও বিভিন্নভাবে উপকৃত হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮
আরবি/