ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঝরাপাতার বন নওগাঁর আলতাদীঘি শালবন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮
ঝরাপাতার বন নওগাঁর আলতাদীঘি শালবন আলতাদীঘি শালবন-ছবি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নওগাঁ: পুরো উত্তরাঞ্চল জুড়ে মাত্র একখণ্ড প্রাকৃতিক বন নওগাঁর আলতাদীঘি শালবন। বনের সরু পথ, সবুজ বৃক্ষ, গাছের ঝরাপাতা, তার মাঝে-মধ্যে লাল মাটি দিয়ে তৈরি উইপোকার ডিবিগুলো আকৃষ্ট করবে যে কাউকেই। আর এজন্যই নওগাঁর আলতাদীঘি শালবনকে বলা হয় ঝরাপাতার বন।

প্রাকৃতিকভাবেই দীর্ঘদিনে গড়ে ওঠেছে আলতাদীঘি শালবনের এ চিত্র। নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলা সদর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার উত্তর-দক্ষিণ কোনে অবস্থিত এ শালবন।

সবুজ-সৌন্দর্যে ভরপুর এ শালবনকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয় ২০১২ সালে।

বন বিভাগের মতে, এক সময় এ বনে বাস করতো বাঘ, সিংহ, অজগরসহ বিভিন্ন প্রজাতির হিংস্র প্রাণী। ছিল হরিণ, বানর, ময়ূর ও অসংখ্য ছোট-ছোট প্রাণীকূলের বাস। এরই মধ্যে শালবনে অবমুক্ত করা হয়েছে দু’টি অজগর, মেছো বাঘ, কিছু ছোট প্রজাতির প্রাণী ও পাখি। এছাড়া সার্কাস থেকে আনা দু’টি হনুমান ও তিনটি বানরও ছাড়া হয় এ বনে। এ প্রাণীগুলো বিশেষ করে অজগর ছেড়ে দেওয়ায় কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আলতাদীঘি শালবন-ছবি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমস্থানীয় বাসিন্দা মুকুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ বনে মোটামুটি ছোট-বড় অনেক প্রাণীর বসবাস। বেশ কিছুদিন আগে অজগর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এ বনে। যার ফলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অজগরের ভয়ে মানুষ বনে যেতে ভয় পাচ্ছেন। বিশেষ করে যেসব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ এ বনে বাস করে তাদের সমস্যা বেশি।

বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বনের জীববৈচিত্র পুনরুদ্ধারের একটি প্রকল্প হাতে নেয় বন বিভাগ। দু’বছর পর শুরু হয় সে কাজ। বনে ঢোকার মুখে নির্মাণ করা হয়েছে পার্ক অফিস, বনের ভেতরের খালগুলো সংস্কার ও নির্মাণ করা হয়েছে গোলঘর। আলতাদীঘি শালবন-ছবি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমপার্শ্ববর্তী জেলা জয়পুরহাট থেকে বনে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী মাহবুব আলম বাংলানিউজকে বলেন, বনে নিরাপত্তার অনেক অভাব। এখানে কোনো নিরাপত্তাকর্মী নেই। তাছাড়া দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য নেই কোনো বিশ্রামাগার। মাহবুবের পাশাপাশি বনে ঘুরতে আসা অধিকাংশ দর্শনার্থীর এমন অভিযোগ।

ধামইরহাট বন বিট কর্মকর্তা লক্ষণ চন্দ্র ভৌমিক বাংলানিউজকে জানান, আলতাদীঘি শালবন যেহেতু প্রাকৃতিক বন, তাই উত্তরাঞ্চলে কেবল এ বনেই সব প্রাণীকূলের আবাসস্থল গড়ে তোলা সম্ভব। আলতাদীঘি শালবন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিসহ স্থানীয়রাও বিভিন্নভাবে উপকৃত হবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।