শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেটে ইসকনের একটি পাঁচ তলাবিশিষ্ট ছাত্রাবাস নির্মাণে অর্থসহায়তার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে একথা জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসকন সিলেটের সভাপতি শ্রী নবদ্বীপ দ্বিজ গৌরাঙ্গ দাস, ইসকন বাংলাদেশের সচিব শ্রী চারু চন্দ্র দাস, অ্যাডভোকেট শ্রী দেবাশীষ সেন প্রমুখ।
হাইকমিশনার বলেন, ইসকন সিলেটের শ্রী রাধা মাধব জিউ মন্দিরে এসে আমি খুবই আনন্দিত। অনেক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের মায়াপুরে ইসকনের প্রধান মন্দিরে ভ্রমণ করেছিলাম। তখন থেকেই ইসকনের সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও আমি ইসকনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলাম। সেখানেও ইসকনের অনেক অনুসারী আছেন।
‘১৯৬৬ সালে অভয় চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী শ্রীল প্রভুপাদ তার স্বর্গীয় কৃপায় ইসকন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং আজ তা বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত ও শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষার ভিত্তিতে গৌড়ীয় বা চৈতন্য বৈষ্ণবের বাণী প্রচার করছে। ’
তিনি বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশে দু’টি ইসকন সেন্টারে উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। ইসকন সাভারে একটি বৃদ্ধাশ্রম ও অনাথাশ্রম নির্মাণে ৫ দশমিক ৫৪ কোটি টাকা অর্থায়ন করছে। সিলেটে একটি পাঁচ তলাবিশিষ্ট ছাত্রাবাস নির্মাণে দিচ্ছে ৭ দশমিক ৪ কোটি টাকা।
‘এ প্রকল্পের জন্য ইসকন সিলেটকে ইতোমধ্যে ১ দশমিক ৫৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আজ পরবর্তী কিস্তির অংশ হিসেবে ১ দশমিক ০৫ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করবো। দু’টি প্রকল্পই ২০১৭ সালের অক্টোবরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের বাংলাদেশ সফরকালে উদ্বোধন হয়েছিল। আশা করি প্রকল্প দু’টি শিগগিরই সম্পন্ন হবে। ’
পরের মাসে সিলেটের বিয়ানীবাজারে অনুষ্ঠেয় শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর অন্তরঙ্গ পার্ষদ শ্রীবাস ঠাকুরের আবির্ভাব উৎসব উপলক্ষে ইসকনকে অভিনন্দন জানান শ্রিংলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮
এএ