পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে উদ্বিগ্ন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের উচ্চতর গণিত ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা সারাদেশে ‘ক’ সেটের প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই ঘটনায় ফলাফল বিপর্যয় ঝুঁকিতে হায়দার আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া মানিকনগর মডেল হাই স্কুলের ২৫৪ জন শিক্ষার্থী।
উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলেন, যেহেতু সারাদেশে ‘ক’ সেটের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সেহেতু বোর্ড থেকে খাতা মূল্যায়নের জন্য ‘ক’ সেটের নির্দেশনা দেওয়া থাকবে। যেসব শিক্ষক খাতা মূল্যায়ন করবেন তাদের হাতেও ‘ক’ সেটের প্রশ্নপত্র থাকবে। কিন্তু এই ২৫৪ জন শিক্ষার্থীর খাতায় ‘খ’ সেটের প্রশ্নের পত্রের উত্তর লেখা।
‘ফলে এই কেন্দ্রের সব পরীক্ষার্থী এই দুটি বিষয়ে ফেল করবে। যাচাই করে দেখা যায় ‘ক’ সেটের সঙ্গে ‘খ’ সেটের প্রশ্নপত্রের কোনো মিল নেই। ’
কতৃপক্ষের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার এসব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি, তাদের পরীক্ষার খাতা যেন ‘খ’ সেটের প্রশ্নপত্র দ্বারা মূল্যায়ন করা হয়।
তারা বলেন, আমাদের ভাগ্য আমরা প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হাতে সঁপে দিয়েছি। তারা হস্তক্ষেপ করে আমাদের ফলাফল বিপর্যয় ঠেকাবেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, কর্তৃপক্ষের অন্যায়, ভুলের বলি আমরা হবো কেন? দায়ী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। ফলাফল বিপর্যয় হলে আমরা কাউকে ক্ষমা করবো না।
শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পরীক্ষার খাতা ‘খ’ সেটের প্রশ্নপত্রে মূল্যায়ন করতে হবে। না হলে এই বিষয়গুলোতে ‘এ প্লাস’ দিতে হবে।
শাকিব আহমেদ বলেন, একজন দুই জন না আমাদের ২৫৪ জন শিক্ষার্থীর জীবন, ভবিষ্যৎ এখানে জড়িত। আমরা এর সমাধান ও দায়ীদের শাস্তি চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮
এমইউএম/এমএ