শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও আশুলিয়ার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছে থেকে ডাকাতি ব্যবহৃত অস্ত্র ও নিহত বাস চালকের মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সজীব, ইমরান হোসেন, কাউসার, জামিরুল, আরিফ, লিটন, উজ্জ্বল, জিহাদ, ইমরান মিয়া ও নাইম হোসেন। বাকি তিনজনের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, যাত্রী বেশে ডাকাত চক্রটি চলন্ত বাসে ডাকাতি করে করতো। বিশেষ করে টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কের বাসগুলো তাদের টার্গেট। ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী বাসে যাত্রী বেশে ১৬ ও ১৭ জন ডাকাত উঠে। পরে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে চালক বাধা দেয়। এসময় চালকে বুকে ছুরিকাঘাত করে বাসের পিছনে ফেলে রাখা হয়। ডাকাতি শেষে তারা বাসটি আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকায় ফেলে পালিয়ে যায়। ততক্ষণে বাসের চালক মারা যায়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বাংলানিউজকে জানান, এই ডাকাত চক্রের মূল হোতা আসিফ ও রুবেলকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকা থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইলের ধলেশ্বরী পরিবহনের ইনসাফ এন্টারপ্রাইজ নামক বাসের ভেতর থেকে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে নিহত চালক শাজাহান মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বাসের হেলাপার ও সুপারভাইজারও গুরুতর জখম হন। পরে নিহতের ভাই মজিবর বাদী আশুলিয়ায় থানা অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে খুনসহ ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা
এনটি/আরএ