শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জহরেরকান্দি গ্রামে পূর্ব কোটালীপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি মুক্তিযোদ্ধা কবি কাজী রোজী ফিতা কেটে এ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে হেমায়েত বাহিনী গঠন করে জহরেরকান্দি গ্রামের পূর্ব কোটালীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প গড়ে তোলেন।
গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল জেলার নারী মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিযোদ্ধারা এ ক্যাম্প থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বে কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের রাজাপুর, রামশীল, জহরের কান্দিসহ গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও বরিশাল এলাকায় পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তোলা হয়। এসব যুদ্ধে হেমায়েত বাহিনীর ২৮ মুক্তিযোদ্ধা শাহাদৎ বরণ করেন। হেমায়েত উদ্দিনসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।
স্বাধীনতার পর পূর্ব কোটালীপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব গাঁথার স্মৃতি তুলে ধরতে কোনো স্মৃতি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়নি। গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়ে দেবদুলাল বসু পল্টু গত বছর জহরেরকান্দি স্কুলে একটি স্মৃতি ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নেন। তিনি অর্থ, পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
পূর্ব কোটালীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বনোজ কান্তি মজুমদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী এমদাদুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস, এম হুমায়ুন কবির, মুক্তিযোদ্ধা আশালতা বৈদ্য, জেলা পরিষদ সদস্য মাজাহারুল হক পান্না, ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোক্তা দেবদুলাল বসু পল্টুসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক মুক্তিযোদ্ধা কবি কাজী রোজী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকায় স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য উদ্বোধন করতে পেরে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি গর্বিত। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্নগুলি সংরক্ষণের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারব।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ