উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের আকুয়া সৈয়দপুর গ্রামে দুইটি ইটভাটার মালিক স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে এসব মাটি নিয়ে যাচ্ছে ভাটায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার প্রভাবশালী ফজলু খাঁ, রশিদ খাঁ, আছকির খাঁ ও উজ্জল খাঁ প্রতিবছর মনু নদীর পাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাটি কাটার মেশিন দিয়ে নদীর পাড় খনন করে মাটি নেওয়া হয়েছে ইটভাটায়। প্রতিরক্ষা বাঁধ কেটে তৈরি করা হয়েছে মাটিবাহী গাড়ি চলাচলের রাস্তা। ভারী ওজনের মাটিবাহী ট্রাক ও ট্রাক্টরের চলাচলে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গাড়ি চলাচল করায় রাস্তার ধুলাবালিতে এলাকাবাসী বিপাকে পড়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, নদী পাড়ের মাটি কাটার ফলে বন্যার সময় দ্রুত পানি এসে প্রতিরক্ষা বাঁধে আক্রমণ করবে। তাদের মাটির গাড়ি চলাচলে যে ক্ষতি হচ্ছে তাতে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। এতে আশপাশের প্রায় ১০টি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে।
এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বারবার নিষেধ করার পরও তারা কোনো কথা শুনছে না। বন্যা হলে বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে থাকি। এর জন্য দায়ী এই অসাধু মাটি বিক্রেতা ও ক্রেতারা। এবার যেভাবে বন্যা হয়েছে, আগামী বছর যদি এভাবে বন্যা হয়, তাহলে ভাঙন নিশ্চিত।
এ বিষয়ে মেসার্স এম আর এস ব্রিকসের মালিক মো. মইন উদ্দিন বলেন , আমরা রাস্তায় ধুলাবালি ফেলছি তা স্বীকার করি। কিন্তু মাটি যারা বিক্রি করছে তাদের কাছে যান। আমরা টাকা দিয়ে কিনে আনছি এসব মাটি।
মাটি বিক্রির অভিযোগের ব্যাপারে আছকির খাঁ বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রথমবার এখানে মাটি কেটেছি। ফসলি জমি করার জন্য সেখান থেকে মাটি সরিয়েছি, যা ইট ভাটার মালিক মইন উদ্দিন সামান্য টাকার বিনিময়ে নিয়ে গেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নরেন্দ্র সংকর চক্রবর্ত্তী বাংলানিউজকে জানান, নদী পাড়ের মাটি কাটা বা বিক্রি করা সম্পূর্ণ অবৈধ। নদীর পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হলে প্রতিরক্ষা বাঁধে তার প্রভাব পড়বে। বাঁধের দায়িত্ব আমাদের হলেও সমস্ত জমি জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব। তারপরও আমরা খোঁজ নেবো।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কেউ যদি এভাবে নদীর পাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮
আরআর