ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মিরপুরে এক সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮
মিরপুরে এক সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে তানজিমা আক্তার তন্নী (২৭) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন তার স্বামী মফিজুর রহমান। তবে তন্নীর স্বজনরা দাবি করেছেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের ৮ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় নিজেদের বাসা থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  

মফিজুরের দাবি, তন্নী তার শয়নকক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছিলেন।

তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে সকাল ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তন্নী পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার শাপা গ্রামের এস এম সাত্তার হাওলাদারের মেয়ে। তিনি ছিলেন এক সন্তানের জননী। আর মফিজুল কুমিল্লায় ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত।

মফিজুল বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, দু’দিন আগে ছুটিতে তিনি ঢাকায় নিজেদের বাসায় আসেন। শনিবার সকালে দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে পাশের কক্ষে বসেছিলেন তিনি। সকাল ৮টার দিকে শয়নকক্ষে গিয়ে দেখেন তন্নী ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তন্নীকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে ঢামেকে ছুটে আসেন তন্নীর স্বজনরা। তার বড় বোন শামীমা আক্তার বাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করেন, তন্নী আত্মহত্যা করেননি। তাকে হত্যা করা হয়েছে।  

স্বামীর তরফ থেকে তন্নীকে মানসিকভাবে অসুস্থ দাবি করা হলেও এ বিষয়ে শামীমা বলেন, তন্নীর কোনো মানসিক সমস্যা ছিল না। ওর শ্বশুরপক্ষের লোকজনই তাকে মানসিক চাপে রাখতো। বাবার বাড়ি যেতে চাইলে সেটা নিয়ে তাকে বকাঝকা করতো।

তন্নীর বড় বোন বলেন, চার বছর আগে মফিজুলের সঙ্গে তন্নীর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক সন্তান রয়েছে।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে  জানান, ময়না-তদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।