শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগর ভবনের তৃতীয় তলার সম্মেলন কক্ষে মেয়র আহসান হাবিব কামালের উপস্থিতিতে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কিন্তু বৈঠকে কোনো সুরাহা না হওয়ায় আন্দোলন অব্যাহত রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের নগর ভবন শাখার সম্পাদক দীপক লাল মৃধা বাংলানিউজকে বলেন, বৈঠকে বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৫টি বকেয়া বেতনের মধ্য থেকে ৪টি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের ২২টি বকেয়া থেকে ১০টি দেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়।
কিন্তু এর বিপরীতে মেয়র মার্চ মাসে ১টি, এপ্রিল মাসে ১টি ও জুন মাসে সব বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাসের কথা বলেন। এতে কেউ রাজি না হওয়ায় বৈঠক সমাধানবিহীনভাবে শেষ হয়।
তিনি বলেন, বৈঠকে মেয়রকে আয়-ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরার দাবি জানানো হলেও তিনি তা পারেননি।
আন্দোলনকারীরা জানান, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের যে আয় রয়েছে, তা দিয়ে ভালোভাবেই সব স্টাফদের বেতন সম্ভব। বর্তমান মেয়রের আমলে ২০১৬ সাল থেকে আমাদের বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রথম আন্দোলনে নামতে হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে ৩টি আন্দোলন হয়, যার মাধ্যমে বকেয়া বেতনের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হয়েছে। বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে ৪র্থ বারের মতো আন্দোলনে নামতে হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, ৬ মাস ধরে ৫ শতাধিক নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মাচারী এবং ৪ মাস ধরে প্রায় ১ হাজার ৪শ’ দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি ২২টির মতো প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা আটকে রয়েছে।
মেয়র আহসান হাবিব কামাল বলেন, প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে। পাশাপাশি প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও পরিশোধ করে আসছি। বছরে বছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন স্কেল বাড়লেও বাড়ছে না সিটি কর্পোরেশনের আয়। তাই সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। তবে আয় বাড়াতে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র কে এম শহীদুল্লাহ, তসলিমা কালাম পলি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহেদুজ্জামান, সচিব মো. ইসরাইল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮
এমএস/আরআর