খুঁজতে খুঁজতে একসময় সে লঞ্চে চড়ে চলে যায় বরিশালের মুলাদী। সেখানে এক লোকের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেছে ১২ বছর।
সুরাইয়া বলেন, আমার বাবার নাম সুলাইমান মিয়া, মায়ের নাম জুলেখা বেগম। আমরা ৪ বোন, ২ ভাই। আমরা ঢাকার মিরপুর-১ নম্বরে ভাড়া বাসায় থাকতাম। বাবা মিরপুরে ডেকরেটরের ব্যবসা করতেন। শুনেছি আমাদের বাড়ি শরীয়তপুরে। ছোটবেলা লঞ্চে করে একবার গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু গ্রামের নাম ঠিকানা বলতে পারি না।
আমার বয়স যখন ৬ বছর তখন আমি ঢাকার মিরপুর থেকে হারিয়ে যাই। পরে ঘুরতে ঘুরতে শরীয়তপুরে যাওয়ার জন্য লঞ্চে উঠি। কিন্তু লঞ্চ চলে যায় বরিশালের মুলাদি। সেখানে হারুন খাঁ নামে এক লোক আমাকে থানায় নিয়ে জিডি করে। পরে হারুন খাঁর কাছ থেকে দেলোয়ার হোসেন বাদশা নামে এক লোক আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং বাড়ির কাজের মেয়ে হিসেবে রেখে দেয়। আমি অনেকবার সেখান থেকে পালাতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা আমাকে পালাতে দেয়নি। অনেক কৌশল করে সেখান থেকে পালিয়ে এসেছি। আমি আমার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চাই।
পালং মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন,
মেয়েটির কাছ থেকে ঘটনা শুনে একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। মেয়েটির ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ