এতে পরিবহনগুলোর চালক ও যাত্রীরা ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পেলেও বিপাকে পড়েছেন ওই আঞ্চলিক সড়কের মাটি ও ইটবাহী ট্রাক ও অটোরিকশা চালকেরা।
শনিবার দুপুরে (২৪ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে সাটুরিয়া-পাকুটিয়া আঞ্চলিক সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে সাময়িক যানজটে আটকে থাকতে দেখা গেছে উত্তরবঙ্গগামী বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী এসি বাসকে।
সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের বেতুলিয়া ব্রিজের উপর যানজটে আটকে থাকা উত্তরবঙ্গগামী সকাল-সন্ধ্যা এসি পরিবহনের সুপারভাইজার মামুন হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা মোড় থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত থেমে থেমে যানজট। পুরো মহাসড়ক জুড়ে দীর্ঘ ভোগান্তি। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কালামপুর থেকে সাটুরিয়া-পাকুটিয়া আঞ্চলিক সড়কে প্রবেশ করেছেন। পাকুটিয়া লাউহাটি দিয়ে সরাসরি টাঙ্গাইল শহরে প্রবেশ করে গন্তব্যে পৌঁছাবেন বলে জানান তিনি। বেতুলিয়া ব্রিজের অপর প্রান্তে আটকে থাকা মাটিবাহী ট্রাকের চালক দুলাল মিয়া জানান, সাটুরিয়া-পাকুটিয়া আঞ্চলিক সড়ক একেবারেই ছোট। একটি গাড়ি আসলে আরেকটি গাড়িকে সড়কের বড় জায়গায় অপেক্ষা করতে হয়। ব্রিজের উপর দিয়ে একসঙ্গে দুইটি গাড়ি চলাচল করা সম্ভব নয়। যে কারণে ওই বড় বাসগুলোর জন্যে মাঝে মাঝে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
পাটুকিয়া কেদারপুর আঞ্চলিক সড়কের অটোরিকশা চালক ময়নাল হোসেন জানান, পাকুটিয়া থেকে কেদারপুর যাওয়ার রাস্তায় ওই বাসগুলো প্রায়ই অপরদিক থেকে আসা কোনো বাস বা ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে আটকে যায়। তখন হয় ওই বাস না হলে অপরদিক থেকে আসা বাস বা ট্রাককে আগ-পিছ করে সাইড নিতে হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিষয়টি নিয়ে মাঝে মাঝেই অনেক চালকের সঙ্গে স্থানীয় চালকদের কথা কাটাকাটি হয় বলে জানান তিনি।
সাটুরিয়া থানার সামনে আটকে থাকা উত্তরবঙ্গগামী সোনিয়া পরিবহনের চালক ফিরোজ হোসেন জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটে পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এজন্য আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে মাঝে মাঝেই আসেন। সড়কটি ছোট হওয়ায় কিছুটা ভোগান্তি হলেও কম সময়ে পৌঁছানো যায়।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মাঝে মাঝে কিছু পরিবহন এই রাস্তা দিয়ে টাঙ্গাইলের দিকে যায়। এতে তেমন কোনো সমস্যা নেই। তবে অধিক পণ্যবাহী ট্রাক এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে সেক্ষেত্রে মামলা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮
আরআর