ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সক্রিয় এই দুর্বৃত্তদের ধরতে বহু খাটতে হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনীকে। অবশেষে ‘দশ দিন’ চুরির পর ‘গেরস্থের একদিনে’ ধরা পড়লো দুর্বৃত্ত চক্রের একজন।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢামেকের বহির্বিভাগ থেকে মঞ্জু বেগম (৫০) নামে এক রোগীর গলার সোনার অলঙ্কার চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে শামসুন নাহার (২০) নামে দুর্বৃত্ত চক্রটির ওই সদস্য। তাকে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নাহারকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্প।
জিজ্ঞাসাবাদে নাহার জানান, তার বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায়। বিয়ে বিচ্ছেদের পর তিনি একমাত্র সন্তানকে নিয়ে থাকছেন যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায়। সঙ্গে থাকেন সাহেরা ও মাহমুদা নামে তার গ্রামের দুই প্রতিবেশী।
নাহারের দাবি, তিনি আগে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। প্রতিবেশী সাহেরাই তাকে ঢামেকে রোগী সেজে স্বর্ণ, মোবাইল ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অপকর্মে নামিয়েছেন।
শনিবারের ঘটনার বর্ণনায় নাহার জানান, সাহেরার পরিকল্পনা অনুযায়ী দুপুরে মাহমুদাসহ তারা তিনজন ঢামেকের বহির্বিভাগে আসেন। কথা মতো রোগীদের লাইনে দাঁড়িয়ে ঠেলাঠেলি করতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে তাদের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা রোগী মঞ্জু বেগমের স্বর্ণের অলঙ্কার নিয়ে দৌড় দেন তিনজন। কিন্তু আশপাশের লোকজন নাহারকে ধরে ফেলে। পালিয়ে যেতে সক্ষম হন সাহেরা ও মাহমুদা।
এ বিষয়ে ঢামেকের বহির্বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার সামছুল আলম বাংলানিউজকে জানান, এমন বেশ কয়েকটি নারী চক্র ঢামেকে সক্রিয় আছে। তারা রোগী সেজে লাইনে দাঁড়িয়ে স্বর্ণালঙ্কার, টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে যায়। বহুবার বেশ কয়েকজনকে ধরে পুলিশে দেওয়া হয়েছিল। তবু তাদের থামানো যায়নি।
ওয়ার্ড মাস্টার সামছুল আরও বলেন, চক্রটির সদস্যরা বেশ চতুর। তাদের ধরা মুশকিল। কেউ যেন সন্দেহ করতে না পারে, সেজন্য তারা বোরখা পরার পাশাপাশি শিশুকেও কোলে নিয়ে আসে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, আটক নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদের পর শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/