এসময় দু’জনের কাছ থেকে অরুনীমার মোবাইল ফোন, ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা কোতোয়ালি থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ছিনতাইকালে অরুণীমা আহত হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার পর গত শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার ভাই বিধান ভৌমিক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (তদন্ত) বিপুল কুমার দে বাংলানিউজকে বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনার পর থেকেই পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ধরতে তৎপর ছিল। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি শরীফকে তার শ্বশুর বাড়ি আলফাডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সঙ্গী টিটুকে শহরের মোল্যা বাড়ি সড়ক থেকে আটক করা হয়।
শরীফ শহরতলীর রঘুনন্দনপুর গ্রামের ফল ব্যবসায়ী ফারুক শেখের ছেলে। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় দু’টি ডাকাতি, একটি হত্যা ও একটি মাদক মামলা রয়েছে। টিটু শহরতলীর মুন্সিবাজার এলাকার মৃত সামাদ মাতুব্বরের ছেলে। তারা শহরের গোয়ালচামট মোল্যা বাড়ি সড়কের একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে অরুনীমা শহরের ঝিলটুলীর জুবলী ট্যাংকের মোড়ের বাসা থেকে রিকশাযোগে তার কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেন। হাসপাতালে যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। ৫ দিন রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
অরুনীমা বিশ্বাস ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ফমেক) চিকিৎসক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী।
দীর্ঘদিন ওই দম্পতি ফরিদপুরে চাকরির সূত্রে ঝিলটুলীর জুবলী ট্যাংকের মোড়ে নিজেদের একটি বাসায় বসবাস করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
আরআইএস/
আর কোনো দিন বকাও দিবে না মা...
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি ক্লোজড