রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মাদক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ের উপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১১ সালে মাদক সংক্রান্ত মামলা হয়েছিলো ৩৭ হাজার ৩৯৫টি এবং আসামি ৪৭ হাজার ৪০৩ জন, ২০১৭ সালে মামলার সংখ্যা এক লাখ ছয় হাজার ৫৩৬ জন এবং আসামি এক লাখ ৩২ হাজার ৮৮৩ জন।
‘এই তথ্যগুলোই যদি সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেই তাহলে মানুষ সচেতন হবে যে মাদক বিক্রি করা এবং কোনোভাবে সহযোগিতা করা দণ্ডনীয় অপরাধ’।
তথ্য অভিযান প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা নাম দিয়েছি ‘মাদকের বিরুদ্ধে তথ্য অভিযান’। আমরা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য অভিযানই করতে পারি। আমাদের সহযোগিতা করবে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
‘অভিযান শুরু করবো ১ মার্চ, সব টেলিভিশন এবং রেডিওতে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ‘জীবনকে ভালবাসুন, মাদক থেকে দূরে থাকুন’ শ্লোগানটি একযোগে যাবে। এর মাধ্যমে সব সংবাদ মাধ্যম সবাই একত্রে এই তথ্য অভিযানে সম্পৃক্ত হলো’।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে মাদকের জন্য কতোগুলো মামলা হয়েছে, কতোগুলো শাস্তি হয়েছে এবং এর জন্য পারিবারিকভাবে কতোটা সহনশীলতার প্রয়োজন, তদের পুর্নবাসন কীভাবে করা যায়, সরকার কী কী সুবিধা দিচ্ছে সেগুলো সীমান্ত এলাকায় প্রজেক্টরে প্রচার করবো।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আমরা স্কুল-কলেজে মাদকবিরোধী প্রচারণার পর পর ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হবো এবং তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য উপাত্ত দিয়ে সচেতন করার চেষ্টা করবো শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দূরে থাকার জন্য।
‘এছাড়া আমরা কারাগার কেন্দ্রিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি এবং সেখানে আমি নিজেও উপস্থিত থাকবো। সেটি হচ্ছে যে সেখানে আমরা বিভিন্ন ভিডিও চিত্র দেখাবো। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে বলেছে যে সেখানেও কিন্তু এই বিষয়টি ব্যাপক হারে দেখা যাচ্ছে। আমরা সেখানেও বিভিন্ন ভিডিও প্রদর্শনের সঙ্গে সঙ্গে কাউন্সিলিংয়েরও ব্যবস্থা করবো। সেখানে কাউন্সিলর থাকবেন, যারা এ পথ থেকে ফিরে সুস্থ জীবনে এসেছেন সে রকম একজন। সেই সঙ্গে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে যে তারিখ দেবো আমিও কারাগারে গিয়ে প্রচারণা চালাবো’।
তারানা হালিম বলেন, আমরা জেলা-উপজেলাভিত্তিক ব্যাপকহারে অভিযান চালাতে চাই। সীমান্ত এলাকায় শাস্তির বিষয়টি প্রচারণার মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীরা অবহিত হবে যে সরকার কতো কঠোর এবং জিরো টলারেন্স। সিন্ডিকেটের কাছে এক ধরনের বার্তা পৌঁছানো দরকার।
অভিযানের বিষয়ে গণমাধ্যমগুলোতে চিঠিও পাঠানো হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছোট একটা টিভিসি যাবে, টিভিসির পর স্লোগানটা থাকবে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও একটা সময়ে প্রচার করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস