তবে তিনি বলেছেন, ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কার্যকর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলছিলেন শরণার্থী বিষয়ক কমিশনার। ইন্টার সেক্টর কোর্ডিনেশন গ্রুপ বা আইএসসিজি এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
আবুল কালাম বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে দুই লাখ রোহিঙ্গা আবাস সংকটসহ চরম ঝুঁকিতে পড়তে পারে। সেজন্য উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরকার নির্ধারিত ৩ হাজার একর জমি ছাড়াও ক্যাম্পের আয়তন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা বসতিগুলো সরিয়ে সেখানে পুনর্স্থাপন করা হবে।
শরণার্থী বিষয়ক কমিশনার জানান, বর্তমানে ৩৬ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শিশু এতিম হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৮ হাজারের কাছাকাছি শিশুই মা-বাবা উভয়জনকে হারিয়েছে।
উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে ৯ লাখ ৮ হাজার রোহিঙ্গার অবস্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন করা একটি বড় বিষয় ছিল। আমরা পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মাধ্যমে সেটি করতে পেরেছি। নিবন্ধন করতে গিয়ে দেখা গেছে, রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখ ৭৫ হাজারের কাছাকাছি। গত আগস্টের আগে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে একটি অংশ নিবন্ধনের আওতায় আসার কারণে এই সংখ্যা বেড়ে গেছে।
আগে থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদেরও নিবন্ধনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান আবুল কালাম।
তিনি বলেন, নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষের পর এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য প্রথমে আমাদের লক্ষ্য ছিল ৮৪ হাজার শেল্টার নির্মাণ করা। কিন্তু আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১ লাখ ৯৫ হাজার শেল্টার নির্মাণ করতে হয়েছে। আরও ৫ হাজার শেল্টার নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শেল্টারের মান যাই হোক, রোহিঙ্গাদের মাথার ওপর অন্তত ছাউনি দেওয়ার ব্যবস্থা করছে সরকার।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ‘আইএসসিজি’র সিনিয়র কোর্ডিনেটর সুমবুল রিজভীসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
টিটি/এইচএ/