রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রেলস্টেশনের পার্কিংয়ে পড়ে থাকা একটি ব্যাগে তার মরদেহ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আনে।
ওই দম্পতি বাংলানিউজকে জানান, আঁখি মাদারীপুর কালকিনি উপজেলার আন্ডাচর গ্রামের আরিফ হোসেনের মেয়ে। তার বাবা আরিফ ও মা হাসনাহেনা প্রবাসী। গত ৫ বছর ধরে তারা মরিশাসে থাকেন। পল্লবী সেকশন ১২, ব্লক ই, রোড ৩৩, বাড়ি নং ৩৮, ছয়তলায় ছোটবেলা থেকে আঁখির আরেক মামা রোকন ও মামি জেসমিনের কাছে থাকতেন।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে মামা রোকনের বাসা থেকে কলেজে কথা বলে বেরিয়ে যান আঁখি। যদিও কলেজ বন্ধ ছিল। কবে খুলবে তার খোঁজ নিতে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় তিনি। এরপর থেকে নিখোঁজ হয় আঁখি। রাত ১টার দিকে পল্লবী থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেন তার মামা রোকন।
আঁখির মরদেহ শনাক্তকারী মামা নুরুল ইসলামও মর্মাহত। তারা বিষয়টি বুঝতে পারছে না। কে বা কারা কেন আঁখিকে হত্যা করলো?
নিহতের মামাতো ভাই দুর্জয় ইসলাম রানা বাংলানিউজকে বলেন, আঁখির সঙ্গে সাব্বির নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন সাব্বির ওশান্ত নামে একটি ছেলের সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা বলেছিলেন আঁখি। তাই এ ঘটনায় ওই দু’জন জড়িত থাকতে পারেন বলে আমার ধারণা।
ঢাকা রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আঁখির গলায় দাগ ছাড়াও তার ঘাড় ভাঙা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ঘাড়ের হাড় ভেঙে শ্বাসরোধ করে আঁখিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
এজেডএস/এএটি