হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর কাদির সাক্ষরিত এক নোটিশের প্রেক্ষিতে কর্মচারীরা রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কর্মস্থলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান শুরু করেন।
নোটিশ অনুযায়ী আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির (বুধবার) মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের কর্মস্থলে যোগদান সম্পন্ন করতে হবে বলে জানা গেছে।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের একান্ত সহকারী আব্দুল নান্নান বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের পক্ষে পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এবিএম মুজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি আদেশ নোটিশ শেবাচিম পরিচালকের কাছে আসে। যে চিঠিতে ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি নিয়োগ পত্রের কার্যকারিতা স্থগিত হওয়া কর্মচারীদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পরে তিনি মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে ওইসব কর্মচারীদের আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির (বুধবার) মধ্যে কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দেন বলে জানান তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি ২২৬ জন নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীর নিয়োগ পত্রের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। এরআগে, ওই কর্মচারীরা শেবাচিম হাসপাতালের বিভিন্ন পদে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। যাদের মধ্যে ২১৫ জন কর্মচারী ২০১৫ সালের ০১ থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মস্থলে যোগদানও করেন।
নিয়োগ পত্রের কার্যকারিতা স্থগিত হওয়ায় কর্মচারীরা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করে কোনো সুরাহা করতে না পেরে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট করেন।
মামলার বাদী স্টেনোগ্রফার বাবুল হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, হাইকোর্ট আমাদের (আবেদনকারীগণের) পক্ষে গত ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট রায় দেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল মামলা দায়ের করে। পরে গত ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে। এরপর দীর্ঘ ২৬ মাস ১৩ দিন পরে আবার আমারা কাজে যোগদান করতে পারছি বলে জানান তিনি।
হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল কাদির বাংলানিউজকে বলেন, যেহেতু পূর্বে নোটিশ দিয়ে ওই কর্মচারীদের কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে, সেহেতু অধিদপ্তরের আদেশ পেয়ে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে বুধবারের (২৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে কর্মচারীদের কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু কর্মচারী কাজে যোগ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
এমএস/এসআরএস