রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরোচিত অবদানের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সারাদেশে তাদের সমাধি একই ডিজাইনে করার প্রকল্প নিয়েছে সরকার।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বছরে একবার কক্সবাজারে আবহাওয়া পরিবর্তন/ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতার বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী মাসিক ভাতা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধারা পাচ্ছেন- আবাসন সুবিধা, রেশন সুবিধা, শিক্ষা ভাতা, কন্যাদের জন্য বিবাহভাতা (এককালীন ১৯ হাজার ২০০ টাকা), উৎসব ভাতা, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে প্রীতিভোজ, ২০ শতাংশ ও তদূর্ধ্ব পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের দেশে-বিদেশে বিনাখরচে চিকিৎসা সেবা, মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলে গার্ড অব অনারসহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন/সৎকার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন, সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৫শ’ বর্গফুটের বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স ও পানির বিল মওকুফ, যুদ্ধাহত পরিবারের দুই বার্নারের একটি গ্যাসের চুলার বিল মওকুফ, হুইল চেয়ারে চলাচলকারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের মোবাইল বিল সেবা। এছাড়া সরকারের দেওয়া বিশেষ পরিচয়পত্র দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা রেলওয়ে, প্লেন ও বাসে বিনা ভাড়ায় যাতায়াতসহ বিভিন্ন সুযোগ পাচ্ছেন।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাসিমা ফেরদৌসীর প্রশ্নের উত্তরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর ও আল শামসদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশের জন্য দেশের সব উপজেলায় ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনা আপাতত নেই। তবে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে একটি ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে স্থাপত্য অধিদফতর কর্তৃক স্থাপত্য নকশার খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগির নকশাটি চূড়ান্ত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
এসকে/এসএম/এইচএ/