রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৯টার দিকে ভোলাগঞ্জ কালাইরাগ এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলী আমজাদ ও তার সহযোগীদের মালিকানাধীন কোয়ারিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৩০) এবং একই এলাকার আসকর আলীর ছেলে রুহুল (২২)।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার মলিকপুরের মকসুদ আলীর ছেলে রকিবুল, তেরাব আলীর ছেলে ফিরোজ আলী ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জের আক্তারপাড়া গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে রুহেল। তাদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর কোয়ারির লেবার সর্দার আব্দুর রউফকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ। আটক আব্দুর রউফ সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার সময় গর্তে ৬/৭ জন শ্রমিক জেনারেটর চালিয়ে পাথর উত্তোলনকালে মাটি চাপা পড়েন। তাৎক্ষণিক ২ জনের মরদেহ ও ৩ জনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দু’টি নিজেদের হেফাজতে আনে এবং কোয়ারি সর্দারকে আটক করে।
স্থানীয়রা আরো জানান, কোয়ারিতে প্রায় ৫০ ফুট গভীর গর্ত থেকে শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে পাথর উত্তোলন করছিলেন। কিন্তু কোয়ারির তীরের মাটি নরম থাকায় ধসে পড়ে চাপা পড়েন শ্রমিকরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আমজাদ হোসেন ছাড়াও উপজেলার দক্ষিণ কোনাবাড়ির কালা মিয়া, মাসুক মিয়া, তানভীর আহমদ কনাই, কালাইরাগের ফয়জুর ও কালীবাড়ির আলাউদ্দিন ওরফে মরা আলাউদ্দিন ওই কোয়ারির যৌথ মালিক বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে পুলিশ বলছে কোয়ারি মালিকদের নাম এখনো পাওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে যাদের নাম আসবে তারাই মামলায় অভিযুক্ত হবে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাত ১১টায় নিহত দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোয়ারি মালিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
এনইউ/এসএইচ