সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু করে শ্রমিক ইউনিয়ন।
জেলা বাস-মিনিবাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো একযোগে টাঙ্গাইল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা অভিমুখে চলাচলকারী সব পরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে। তবে টাঙ্গাইল জেলার উপর দিয়ে চলাচলকারী অন্যান্য জেলার যানবাহন এ ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
সকাল সাড়ে নয়টায় নতুন বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, অনেক যাত্রী ধর্মঘটের বিষয়টি না জানায় কাউন্টারে এসে বিপাকে পড়েছেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আশুলিয়া থানা পুলিশ ১২ জনকে আটক করেছে। তবে আটকদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিক সংগঠন আশ্বস্ত না হওয়ায় তাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি বহাল রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ধলেশ্বরী সার্ভিসের একটি বাস টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলে একদল ডাকাত অস্ত্রের মুখে বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে জিম্মী করে বাস নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে উল্টো পথে ঘুড়িয়ে দেয়। পরে ডাকাতরা চালক, সুপারভাইজার, হেলপার ও যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মালামাল ছিনিয়ে নেয়। এসময় ডাকাতরা বাসের চালক শাহজাহান মিয়াকে হত্যা এবং সুপারভাইজার ও হেলপারকে পিটিয়ে আহত করে।
পরে ডাকাতরা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের এ.ই.আর.ই. স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে নেমে যায়। এ ঘটনায় নিহত বাস চালকের ভাই মজিবর বাদী হয়ে ঢাকার আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ