মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি কত হওয়া উচিত’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানায় শ্রমিক নেতা ও রাজনীতিবিদরা। সভার আয়োজন করে গার্মেন্টস শ্রমিক ফন্ট।
সভায় একাত্মতা প্রকাশ বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য বজলুর রশিদ, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল বলেন, ১২ হাজার ডলার রপ্তানি করে গার্মেন্টস শিল্পের যাত্রা শুরু করেছিলো। আজ দেশের প্রধান রপ্তানি আয়ের খাতে পরিণত হয়েছে। বিজিএমইএ’র তথ্য মতে, দেশে ৪০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মরত আছে। দেশের রপ্তানি আয়ের ৮২ শতাংশ গার্মেন্টস শিল্প থেকে আসে।
শ্রমিকদের মজুরি বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে গার্মেন্টস ব্যবসা বাড়ছে, মালিকের মুনাফা বেড়েছে, রপ্তানি বেড়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের মজুরি সে অনুসারে বাড়ছে না। ফলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জীবনযাপনের ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে যুদ্ধ করে দিন পার করছে তারা।
অর্থনৈতিক উন্নতি সত্ত্বেও শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত হয়নি জানিয়ে অন্য বক্তরা বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের স্তর থেকে উন্নীত হয়েছে বলে সরকারি মহল থেকে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা হচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত হলেও শ্রমিকরা মানসম্পন্ন জীবন-যাপন করার মতো মজুরি পাচ্ছে না। নিয়ম অনুসারে, শ্রমিকেদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়লে দেশের সামগ্রিক ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে।
বক্তারা বলেন, মানসম্মত মজুরি যেমন শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত করবে তেমনি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালি করবে। দেশকে যদি উন্নত দেশের কাতারে দাড় করাতে হয়, তাহলে শ্রমজীবী মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ছাড়া তাদের আয় ও ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে না। বর্তমানে বাজার দর বিবেচনা করে ১৮ হাজার টাকা মজুরি নির্ধারণ দেশের শ্রমিক এবং অর্থনীতির বিকাশের জন্যই প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
এমসি/জিপি