ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সোনারগাঁওয়ে লরির ধাক্কায় বাস উল্টে নিহত ৯

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
সোনারগাঁওয়ে লরির ধাক্কায় বাস উল্টে নিহত ৯ লরির ধাক্কায় উল্টে যায় বাসটি। ছবি: পারভেজ/বাংলানিউজ

নারায়ণগঞ্জ: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় লরির ধাক্কায় বাস উল্টে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় উপজেলার ত্রিপুরদী এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কের কেনটাকি গার্মেন্টসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  

হতাহতের মধ্যে সবার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

তবে নিহতদের মধ্যে ইয়াসিন (৩৮) ও শুভ সাহার (১৭) নাম পাওয়া গেছে। শুভ সাহা চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের গোপাল সাহার ছেলে।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম বাংলানিউজকে জানান, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থল ও নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।  

হতাহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।  

নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) মোল্লা তাসলিম হোসেন জানান, দুপুরে ঢাকা থেকে সিডিএম নামে ইয়াসিন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো প - ১৪-০৮২৬) ৪০ থেকে ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল।

সোনারগাঁওয়ের ত্রিপুরদী এলাকায় পৌঁছালে একটি লরি বাসটিকে ধাক্কা দেয়। আর এতেই এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।  

দুর্ঘটনায় হতাহতরা।  ছবি: শিমুল/বাংলানিউজবাসের যাত্রী আহত আবুল কাশেম বাংলানিউজকে জানান, কাঁচপুর থেকে লোকাল বাসটিতে ওঠেন তিনি। পথে সোনাকাধী এলাকায় একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয় বাসটি।  

‘পরে চালক নিজেকে রক্ষা করতে দ্রুতগতিতে বাস চালানো শুরু করে। এক পর্যায়ে উপজেলার ত্রিপুরদী এলাকায় ধীরে চলতে থাকা একটি লরিকে সাইড দিয়ে যাওয়ার সময় ধাক্কা লেগে বাসটি উল্টে যায়। ’ 

তিনি বলেন, এতে ঘটনাস্থলেই সাতজনের নিথর দেহ দেখেছি। বাকিদের এলাকাবাসীর সহায়তায় স্থানীয় হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখেছি।  

বাসটিতে ৪০ থেকে ৪৫ জন যাত্রী ছিল বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী ও এ দুর্ঘটনায় আহত আব্দুল ওয়াহাব মিয়া।  

এদিকে দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে তাৎক্ষণিক ১৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাহমুদ বলেন, হাসপাতালে মৃত অবস্থায় ৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। আর অজ্ঞাত পরিচয়ে আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী চিকিৎসাধীন এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

‘আমরা জরুরি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে ১০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পেয়েছি। তাদের চিকিৎসা চলছে-এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। ’ 

ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন- ফরহাদ, রাজু, কুদ্দুস, হালম, কালাম, রিপন, মিজান, হাসান, আশিক, জাহাঙ্গীর, বাবুল, মাজেদা এবং তার নাতনি জান্নাত ও আফরিন।  

জরুরি বিভাগের সামনে নিহত শুভ’র মা আহত কাজল রানী সাহা বাংলানিউজকে জানান, গাজীপুর থেকে ছেলেকে নিয়ে চাঁদপুরে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। কাঁচপুর থেকে লোকাল বাসটিতে ওঠেন তারা।  

দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও লরিটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাইয়ুম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮/আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা
এজেডএস/এমএ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।