মিলন রঘুনন্দপুর গ্রামের মো. আব্দুল মজিদ ওরফে মোংলা শেখের ছেলে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
ফরিদপুর র্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইছ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে ফরিদপুর ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মনিরুল ইসলাম মিলনকে (৪৮) শ্বশুর বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
গত বছরের ১৩ অক্টোবর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র সোলাইমান মিয়া ওরফে শিমুলকে (২৫) মনিরুল ইসলাম মিলন, তার ভাই মাসুদ শেখ ও হবি শেখসহ তাদের ১০/১২ জন সহযোগী লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। তাংক্ষণিক শিমুলকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই ওইদিনই রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বাবা শহরের পশ্চিম খাবাসপুরের বাসিন্দা ইসাহাক মিয়া বাদী হয়ে গত বছরের ১৫ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় ১২ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। স্পর্শকাতর হওয়ায় মামলাটি তদন্তভার সিআইডি দেয়। পরে আসামি গ্রেফতারে র্যাবের সহযোগিতা কামনা করেন সিআইডি। দীর্ঘ চারমাস পর মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিরা এখনো পলাতাক রয়েছে। গ্রেফতার মিলনকে ফরিদপুর সিআইডি কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
ওএইচ/