গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে ট্রেনের ছাদ থেকে শাকিবকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তার মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়।
শাকিব নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের সফর উদ্দিন ও পারুল বেগম দম্পতির ছেলে। সে শেরেবাংলা নগরের কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটউটের ছাত্রাবাসে থাকতো। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢামেক মর্গে এসে তার মরদেহ শনাক্ত করেন মা-বাবাসহ স্বজন ও সহপাঠীরা।
সফর উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে শাকিব বাড়ি যায়। দু’দিন বাড়িতে থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঘোড়াশাল রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ট্রেনে ওঠে। কিছুক্ষণ পর তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্বজনরা তার সহপাঠীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও শাকিবের সন্ধান পাচ্ছিলেন না। তারপর রেলওয়ে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঢামেকের মর্গে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন তারা।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক সফর উদ্দিন ও তার স্ত্রী স্কুলশিক্ষিকা পারুল বেগম মর্গে সন্তানের মরদেহ দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তারা জানান, কেন তাদের ছেলে মারা গেলো বা কে তাকে হত্যা করলো তা তারা বুঝতে পারছেন না।
শাকিবের ময়না-তদন্তের পর ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, শাকিবের শরীরে ধারালো অস্ত্রের কয়েকটি আঘাত পাওয়া গেছে। ওই আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
শাকিবের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসার পর ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়াও বলেছিলেন, মরদেহের মাথাসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
তবে ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার সোমবার বাংলানিউজকে জানান, সেদিন চট্টগ্রাম থেকে আসা কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের ট্রেনটি বিমানবন্দর রেলস্টেশনে প্রবেশ করছিল। তখন ট্রেনের ছাদে থাকা শাকিব হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লে স্টেশনের ফুটওভার ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আহত হয় সে। দ্রুত তাকে ঢামেকে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/
আগের খবর
** ট্রেনের ছাদে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত