সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ৩৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী সংস্থাটির মহাপরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত লিখিত চিঠি জমা দিয়েছেন।
এনআইডি অনুবিভাগের ৭৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ৭১ জন পদত্যাগ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত ১০ বছর ধরে প্রকল্পভুক্ত কাজ করছেন তারা। কিন্তু বারবার আশ্বাস দিয়েও চাকরি স্থায়ীকরণ এবং রাজস্বখাতে নেওয়া হচ্ছে না। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পে তাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হবে।
কর্মকর্তারা লিখিত আবেদনে এনআইডি মহাপরিচালককে জানিয়েছেন, তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং রাজস্ব খাতে না নেওয়া হলে এবং সরকারি বেতন কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য না করা হলে যেন ২৮ ফেব্রুয়ারির পর তাদের চাকরির মেয়াদ না বাড়ানো হয়।
এনআইডি কর্মকর্তারা টেকনিক্যাল এক্সপার্ট এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট পদে কর্মরত আছেন। তাদের দাবি, সরকারের বেতন কাঠামোর নবম গ্রেডে সহকারী প্রোগ্রামার এবং দশম গ্রেডের ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল সুপারভাইজার পদভুক্ত হওয়া।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইসির এসব প্রকল্প কর্মকর্তারা হঠাৎ চলে গেলে স্মাটকার্ড বিতরণ কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, এনআইডি কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবেই চলতে থাকবে। তবে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অভিজ্ঞ। এছাড়া তারা এখানে চাকরি করতে এসে অন্য চাকরির সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন।
সবকিছু বিবেচনায় এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণ করে রাজস্বখাতে সংযুক্ত করার যৌক্তিকতা বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
ইইউডি/এমএ