সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাদ আসর রংপুর পুলিশ লাইন মাঠে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এসময় তার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক, সিটি কপোরেশন কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে রাজধানীর সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ঝন্টুর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জানাজা শেষে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যোগে বেলা ১২টায় মরদেহ রংপুর নগরীর সেনানিবাস মাঠে তার মরদেহ নেওয়া হয়। সেখান থেকে মরদেহ গুপ্তপাড়ার বাসায় নেওয়া হয়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর কফিনে জাতীয় পতাকা আচ্ছাদিত ছিলো। রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল এ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গার্ড অব অনার দেন।
পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী আসরের নামাজের পর থেকে রংপুর পুলিশ লাইন মাঠে মানুষের ঢল নামে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ রংপুর পুলিশ লাইন মাঠে কফিনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। জানাজা শুরুর আগে জনসমুদ্র হয়ে যায় পুলিশ লাইন মাঠ। জানাজায় ইমামতি করেন গুপ্তপাড়া বাইতুল শাহজাদা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদ উল্ল্যাহ।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য আগত জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রয়াত সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর ছেলে রিয়াজ আহমেদ হিমন।
নামাজে জানাজায় রংপুর সিটি কপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহেদুজ্জমান, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, রংপুরের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, ওলামাদল, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ, কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাশনাল পিপলর্স পার্টি (এনপিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর সিটি কপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র এবং ১৯৯৬ সালে রংপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু রোববার বেলা সাড়ে ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি স্ত্রী, একমাত্র ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
ওএইচ/