ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষামন্ত্রী ফাঁস করা প্রশ্নের জিম্মাদার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
শিক্ষামন্ত্রী ফাঁস করা প্রশ্নের জিম্মাদার

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সদ্য শেষ  হওয়া এসএসসি পরীক্ষার ১৭ দিনে ১২টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। অথচ শিক্ষামন্ত্রীর টনক নড়ে না। উনি বলেন, প্রশ্নপত্র যুগ যুগ ধরে  ফাঁস হয়ে আসছে। যুগ যুগ ধরে ফাঁস হয়েছে কিনা আমরা জানি না। তবে আমরা ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দেইনি। মন্ত্রী দিয়েছেন কিনা?  

‘যারা প্রশ্নফাঁস করে তাদের কিছু হয় না। অথচ প্রশ্নপত্রে দাগ দেওয়ার জন্য তিনজন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী ফাঁস হওয়া প্রশ্নের জিম্মাদার। ’

এ মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান।
 
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী টাকা নিয়ে ধরা পড়ার পরেও মন্ত্রীর কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
 
পীর ফজলুর রহমান বলেন, সবেমাত্র এসএসসি পরীক্ষা সমাপ্ত হলো। এই এসএসসি পরীক্ষার ১৭ দিনে ১২টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই প্রশ্নপত্র বছরের পর বছর ফাঁস হয়ে আসছে। অথচ এর কোনো ব্যবস্থা হয় না।  
 
তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী নিজে বলেন তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত। অন্য মন্ত্রীরাও দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি বলেন সহনীয় মাত্রায় দুর্নীতি করতে। একথা বলার পর ১৭ দিনে ১২টি বিষয়ের প্রশ্নফাঁস হয়। আবার শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মোতালেবকে দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন ব্যক্তিগত সহকারীর ঢাকা শহরে পাঁচতলা বাড়ি রয়েছে। অথচ আমরা স্কুল-কলেজ ভবন নির্মাণের কথা বললে মন্ত্রী বলেন টাকা পেলে দেবো।
 
‘এই সংসদেই নজির রয়েছে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস যখন টাকা নিয়ে ধরা পড়লেন, ধরা পড়ার ১০ দিনের মাথায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পদত্যাগ করেন। কিন্তু শিক্ষমন্ত্রীর কোনো টনক নড়ে না। ’
 
তিনি বলেন, পরীক্ষার আগে ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়। এর দায়-দায়িত্ব ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নয়। তারা ছাপায়ও না, তৈরিও করে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রশ্ন তৈরি করে মন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব শিক্ষামন্ত্রীকেই নিতে হয়, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে মন্ত্রীর কোনো প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করি না। শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।
 
‘চট্টগ্রামে তিনজন ছাত্র প্রশ্নপত্রে দাগ দিয়েছিল বলে তাদের বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু যারা প্রশ্নফাঁস করে, সেই প্রশ্নের জিম্মাদার শিক্ষামন্ত্রী। ’
 
সরকারের সমালোচনা করে বিরোধীদল  জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, ক্যাব এর হিসাব অনুযায়ী ২০০৯-২০১৬ পর্যন্ত এই ৮ বছরে ঢাকায় জীবযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৭১ শতাংশ। বিবিএস এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী গ্রামে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি বেড়েছে। আর মানুষের আয়ের এক তৃতীংশ সন্তানের লেখাপড়া খাতে যাচ্ছে। ঢাকা শহরে মানুষের ভাড়িভাড়া ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আয়ের সিংহভাগ বাড়িভাড়ায় চলে যাচ্ছে। তাই মানুষ খুব বেশি ভালো আছে সেটা সত্য নয়।
 
 বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।