ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

না.গঞ্জের দুর্ঘটনায় ঢামেক মর্গে এক পরিবারের ৩ মরদেহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
না.গঞ্জের দুর্ঘটনায় ঢামেক মর্গে এক পরিবারের ৩ মরদেহ লরির ধাক্কায় উল্টে যায় বাসটি। ছবি: পারভেজ/বাংলানিউজ

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় লরির ধাক্কায় বাস উল্টে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিশু ও নারীসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রাখা ছয় মরদেহের তিনজন একই পরিবারের বলে জানা গেছে।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় উপজেলার ত্রিপুরদী এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কের কেনটাকি গার্মেন্টসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  

সোমবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত পপি আক্তার (১৮) নারীকে মৃত ঘোষণা করেন ঢামেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এর আগে দুর্ঘটনায় তিনি আহত হলে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা মদনপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়।  

পপি কিশোরগঞ্জ তারাইল উপজেলার কাজলা উত্তর‍পাড়া এলাকার মিজানুর রহমান স্ত্রী।

নিহত পপির ভাই নুর আলম বাংলানিউজকে জানান, স্বামীকে নিয়ে আটদিন আগে কেরানীগঞ্জের জাজিরা এলাকায় বাবার বাসায় বেরাতে আসে পপি। আজকে যাত্রাবাড়ী থেকে ফেনীর উদ্দেশে পপি, তার স্বামী ও ছয় বছরের দেবর মো. রহিম নিয়ে রওনা দেন।

তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সোনারগাঁ মদনপুর হাসপাতালে ছুটে আসেন তারা। এসময় পপিকে খুঁজে পেলেও বোন জামাই মিজান ও তার ছোট ভাই রহিমকে খুঁজে পাননি। এসময় মদনপুর হাসপাতাল থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় পপিকে ঢামেকে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পপির মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখতে গিয়ে দেবর রহিমের মরদেহ দেখতে পান। পরে আহতাবস্থায় বোন জামাই মিজানকেও খুঁজে পান নুর আলম।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত উপ পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ঢামেক মর্গে থাকা তিন মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। মরদেহগুলো একই পরিবারের বলে ওমর সানি নামে এক যুবক ‍দাবি করেছেন।

পরিচয় পাওয়া ওই তিনজন হলেন- ইলিয়াস (৩৮) তার বড় ভাই মফিজ (৫০) ও তার বোন মিনু আরা (৪৭)।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
এজেডএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।