পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি আবুধাবিতে দু’দেশের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠকে বাংলাদেশের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আনোয়ার বিন মোহাম্মদ গারগাশ আলোচনায় দু’দেশের নেতৃত্ব দেন।
ওই আলোচনায় দেশটি ইঙ্গিত দিয়েছে পুরোপুরি বাজার উন্মুক্ত করার তাদের কোনো পরিকল্পনা এখনই নেই। বরং তারা জানিয়েছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ৭০ হাজার নাগরিকের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এ তথ্যে বাংলাদেশ বিস্ময় প্রকার করে। পরে এ সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, যারাই ইউরোপ-আমেরিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশে যেতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ট্রানজিট নিয়েছে তাদের ভিসা গ্রহিতা হিসেবে দেখানো হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, নতুন ভিসা না দিলেও বর্তমানে কর্মরত বাংলাদেশিদের আকামা (ভিসা ঠিক রেখে নিয়োগকর্তা বদল) পরিবর্তনের সুযোগ দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তবে নারীকর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানান ওই কর্মকর্তা। গতবছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন মাত্র ৪ হাজার ১৩৫ জন। তাদের মধ্যে নারী ৩ হাজার ২৭২ জন।
পুরুষকর্মী যারাই এখন থেকে যাবেন তাদের গত পাঁচ বছরে নিজের দেশ অথবা যেখানে কাজ করেছেন সে দেশের কর্মক্ষেত্র কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চারিত্রিক প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।
বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির অন্যতম বড় বাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
কেজেড/এএ