সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলা এ শিলাবৃষ্টিতে জেলার সাপাহার, পোরশা ও পত্নীতলা উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
শিলার আঘাতে অনেক স্থানে মুকুল থেঁতলে নষ্ট হয়েছে, ঝরেও গেছে অনেক স্থানে।
পত্নীলতা উপজেলার দিবর ইউনিয়নের রূপগ্রামের আম চাষি সোহেল রানা, বাংলানিউজকে জানান, এ মৌসুমে তার প্রায় ২০ বিঘার আমবাগানের অধিকাংশ গাছেই মুকুল এসেছে। শিলাবৃষ্টিতে যার ৮০ শতাংশই নষ্ট হয়েছে।
পার্শ্ববর্তী উপজেলা পোরশার লিচু চাষি সারোয়ার জানান, এবার তিন বিঘা জমিতে তিনি চায়না জাতের লিচু চাষ করেছেন। কিন্তু শুরুতেই শিলাবৃষ্টির কারনে তার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ সময় লিচুর মুকুলের মধ্যে মধু থাকে। শিলাবৃষ্টির কারণে মুকুল নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মধুও নষ্ট হয়েছে। লিচুর ফলন নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েছেন তিনি।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার বাংলানিউজকে জানান, এখনই ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব নয়। তবে যেসব মুকুলে শিলা পড়েছে সেসব মুকুলে আর ফল আসবে না।
তিনি আরও বলেন, এ বছর জেলায় ১২ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে আম এবং ২২১ হেক্টর জমিতে লিচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেহেতু এখনও শতভাগ গাছে মুকুল আসেনি তাই ক্ষতি খুব বেশি হওয়ার কথা নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
এসআই