মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে সরেজমিনে গেলে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মশার কামড়ে অতিষ্ঠ খুবির খান জাহান আলী হলের আবাসিক ছাত্র নাঈম।
তার কথা মতো, রাত তো দূরের কথা পড়ালেখার সময় দিনের বেলায়ও কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ হলের ছাত্র আলামিন বলেন, ক্যাম্পাস ও হলের আশপাশের ঝোঁপঝাড়, জঙ্গল, ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। এতে গরমের শুরুতেই চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে আমাদের।
আরও পড়ুন>>
** চোখ রাখুন খুলনার রাতের ক্যাম্পাসে
একই অবস্থা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের একাধিক শিক্ষার্থীরও। তারা বলেন, মনে হয় সন্ধ্যার পর গোটা ক্যাম্পাস মশার দখলে চলে যায়। কয়েল কিংবা স্প্রে কোনো কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুবির ৫টি আবাসিক হলের প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী থাকছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে আড্ডারত অপরাজিতা ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানালেন, মেয়েদের তো ক্লাস ছাড়া বাকি সময় হলেই থাকতে হয়। এ কারণে মশার কামড়ও বেশি খেতে হয় তাদের।
তাদের ভাষ্য, মশার উপদ্রব এতো বেশি যে, সন্ধ্যার পর হলে একটু পড়ারও উপায় থাকে না। একে তো মশার অত্যাচার তার ওপর কয়েলের উৎকট গন্ধ আর ধোঁয়ায় মস্তিষ্কে এক ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
‘মশার উপদ্রবে বিকেল হতে না হতেই মশারি টানিয়ে থাকতে হয় কক্ষে। কিন্তু এই উপদ্রব এতোটাই বেশি যে, পড়াশোনা করা দায় হয়ে পড়েছে,’ বলেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যা নামতেই ক্যাম্পাসে মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। মশার অত্যাচারে পড়ালেখাসহ একত্রে বসা কিংবা আড্ডা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে খান জাহান আলী হলের প্রভোস্ট সমীর কুমার সাধু বাংলানিউজকে বলেন, খানজাহান আলী হল পুরাতন বলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা কিছুটা নাজুক। এ কারণে এ হলে মশা একটু বেশি।
‘তবে মশার উৎপাত বন্ধ করতে ড্রেন সংস্কারের কাজ চলছে। এ কারণে অনেক জায়গায় পানি জমে মশা জন্ম নিয়েছে। মশার প্রজনন বন্ধ করার জন্য সপ্তাহখানেক আগে ড্রেনে কেরোসিন ঢালা হয়েছে। ’
মশার উৎখাত বন্ধে কিছুদিন পরপর মশা নিধনের কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
এমআরএম/এমএ